সোমালিয়ায় মার্কিন অভিযানের খবর পেয়েই পলাতক আহমেদ গোদানে

বারাওয়ের বিচ হাউসে লুকিয়ে রয়েছে আল শাবাবের শীর্ষ নেতা আহমেদ গোদানে। এমন খবরের ভিত্তিতেই শনিবার রাতে সোমালিয়ায় অভিযান চালিয়েছিল মার্কিন সেনা। কিন্তু গোদানে ওই বাড়িতে ছিল না। জঙ্গিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল নিশ্ছিদ্র। তীব্র প্রতিরোধের মুখে সাঁতরে পালাতে হয়েছে নেভি সিলসের কম্যান্ডোদের। পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে লাদেন-নিধনের পর যাঁদের খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া।

Updated By: Oct 7, 2013, 09:31 PM IST

বারাওয়ের বিচ হাউসে লুকিয়ে রয়েছে আল শাবাবের শীর্ষ নেতা আহমেদ গোদানে । এমন খবরের ভিত্তিতেই শনিবার রাতে সোমালিয়ায় অভিযান চালিয়েছিল মার্কিন সেনা। কিন্তু গোদানে ওই বাড়িতে ছিল না। জঙ্গিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল নিশ্ছিদ্র। তীব্র প্রতিরোধের মুখে সাঁতরে পালাতে হয়েছে নেভি সিলসের কম্যান্ডোদের। পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে লাদেন-নিধনের পর যাঁদের খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া।
১৯৯৩ সালে মোগাদিশুতে মার্কিন সেনার দুটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার গুলি করে নামিয়েছিল বিদ্রোহীরা। তারপর থেকে দীর্ঘকাল আর সোমালিয়া মুখো হয়নি আমেরিকা।
২০০৯-এ সিলসের অতর্কিত অভিযানে মারা যায় আল কায়দার এক শীর্ষ নেতা । সেই কায়দাতেই শনিবার সোমালিয়ার বারাওয়েতে হামলা চালিয়েছিল অন্য একটি টিম।
তাদের কাছে খবর ছিল যে আল শাবাবের প্রধান নেতা আহমেদ গোদানে নিজের বিচ হাউসে লুকিয়ে রয়েছে। বারাওয়ের ওই বাড়িতে হানা দিয়ে শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়ে আমেরিকার নেভি সিলস কম্যান্ডোরা।
আল শাবাব জঙ্গিদের সঙ্গে কিছুক্ষণের সংঘর্ষের পর রণে ভঙ্গ দেয় মার্কিন সেনা। সাঁতরে পালিয়ে যায় নেভি সিলসের ওই টিম। প্রশ্ন হল, কেন গোদানে সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর না নিয়েই অভিযান শুরু করল মার্কিন সেনা। কোথাও কি গোয়েন্দা ব্যর্থতা রয়েছে? সম্ভাব্য মার্কিন হানা সম্পর্কে এবার থেক আরও সতর্ক থাকবে আহমেদ গোদানে ও তার সহযোগীরা। লাদেন হত্যার পর থেকেই ইউ এস নেভি সিলসের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। প্রায় অসম্ভব মিশনকে সম্ভব করাই তাদের কাজ। 
বারাওয়ের ব্যর্থতা সেই কীর্তিতে কি দাগ লাগালো না? কেনিয়ার শপিং মলে হামলার পর থেকেই খবরের শিরোনামে রয়েছে আল শাবাব। আফ্রিকার আরও বহু শহরে নাশকতার হুমকি দিয়েছে ওই গোষ্ঠী। কেনিয়ার পুলিস এতদিনে ওই হামলার দুই চক্রীর ছবি প্রকাশ করেছে। ওই সন্ত্রাসবাদী হামলায় পনেরোজনের বেশি জঙ্গি ছিল বলে জানিয়েছিল কেনিয়া সরকার । সংঘর্ষে তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা গেল কোথায়? ওই জঙ্গিরা ভিড়ে মিশে পালিয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে কেনিয়া পুলিস।

.