সাজো সাজো সান্তা সেলেবরা

সান্তা ক্লজ বলে কি আদৌ কেউ আছেন! প্রশ্নটা নিয়ে অনেক ঝড় ওঠে। এই ফেস্টিভ সেশনে ওসব ঝড়ে উড়ে লাভ নেই। চলুন বরং দেখেনি আমাদের নজরে থাকা সান্তাদের উপর। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো আর বেঁচে নেই। কিন্তু সান্তা ক্লজ হিসাবে এদের দারুণ মানাবে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের।

Updated By: Dec 22, 2013, 11:43 PM IST

পার্থ প্রতিম চন্দ্র

সান্তা ক্লজ বলে কি আদৌ কেউ আছেন! প্রশ্নটা নিয়ে অনেক ঝড় ওঠে। এই ফেস্টিভ সেশনে ওসব ঝড়ে উড়ে লাভ নেই। চলুন বরং দেখেনি আমাদের নজরে থাকা সান্তাদের উপর। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো আর বেঁচে নেই। কিন্তু সান্তা ক্লজ হিসাবে এদের দারুণ মানাবে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের।

তুলসী চক্রবর্তী- সান্তা ক্লজ যদি কলকাতায় সরকারি চাকরি করতেন তাহলে নির্ঘাত তুলসী চক্রবর্তীর মত দেখতে হতেন। ঠিক ৮টা-র সময় বাসে বাদুরঝোলা হয়ে অফিসে ঢুকে চেয়ার বসে দুপুরের ঘুমটা দিতেন, ঘড়ি ধরে ৫টায় বেরিয়ে যেতেন। তাই সান্তার লুকে একটা পানসেটে ভাব আসতই। কিন্তু প্রশ্ন হল তুলসী চক্রবর্তীর মত পরশপাথর সিনেমায় সেই ম্যাজিক পাথর পেলে সান্তা কী করবেন! জানা কথা, পরশপাথরটা উনি টেমসে ফেলে দেবেন। ইংল্যান্ডে পাউন্ডের দাম যে হারে কমছে তাতে ক্যামেরনকে বাঁচানোর ওই একটাই পথ।

ডেভিড শেফার্ড (প্রাক্তন আইসিসি আম্পায়ার)-একেবারে খাঁটি সান্তা ক্লজ-এর মত চেহারা। ওই চেহারা নিয়ে উইকেটের পিছনে একেবারে শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন আম্পায়ার ডেভিড শেফার্ড। বোলাররা যে কোনওদিনই তাঁর কাছে উইকেটের গিফট চাইতেন। শেফার্ড সবার অনুরোধ রাখতেন না।

২০০১ ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচ সাকলেন মুস্তাক গিফট দিয়ে বিপদে পড়েছিলেন। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের মুস্তাক তিনবার নো বল করেন। শেফার্ড কেয়াল করেননি, সেই তিন বলেই আবার আউট হন ইংল্যান্ডের তিন ব্যাটসম্যান। ব্যস, তারপর মহাবিতর্ক, পরে ক্ষমাও চেয়ে নেন। তবে গিফট তো গিফটই...তবে কী শেফার্ড নিজে ইংল্যান্ডের লোক.. আর গিফটা দিলেন সেই দেশের তিন ব্যাটসম্যানকে আউট করিয়ে.. এটাই যা খটকা। তবে এটাও ঠিক সান্তার তো আর দেশ হয় না, পাসপোর্টও লাগে না। তাই...

ঋষি কাপুর-হিরো থেকে হিরো বাবা কিংবা সেমি হিরো হতেই খুল্লাম খুল্লা পেয়ারে লাল ঋষি কাপুর একেবারে সান্তার চেহারা ধারন করেছেন। ঠিকঠাক মেকআপ আর্টিস্ট থাকলে ঋষি কাপুর একেবারে পারফেক্ট সান্তা ক্লজ বনে যাবেন। তনে কী ছেলেটাকে নিয়ে যা বিপদে পড়বেন।
সান্তা হয়ে যাওয়া মানেই ২৪-এর রাতে গিফট দিতেই হবে। আর বাবা, নিজের ছেলেকে তো আর না করা যায় না। ছেলে আবার যা বেসরম তাতে একেবারে ক্যাট, শিলাকেই চেয়ে বসবেন। বিকিনি চিত্র-র পর আবার ক্যাটে ক্ষেপে আছেন সান্তা পত্নী নীতু সিং। সান্তা সাজার আগে তাই একটু ভাবতে হবে ঋষিকে। সান্তা হলে ছেলে, মায়ের মাঝে পরে চিরে চ্যাপটা না হয়ে যান 'ববি'।

বোমান ইরানি-জিমটিম করে স্মার্ট হয়েছেন, পুলিসের চরিত্রে ফাটিয়ে অভিনয় করছেন। তবে তাঁকে দিব্যি মানিয়ে যাবে সান্তা হিসাবে। খোসলা কি গোসলা করে ভাইরাস দিয়ে আমাদের পরিকল্পনা ভন্ড করে দিতে পারেন। যতই হোক তিনি তো বলেছেন, এখন একবার সুপার হিরোর ভূমিকায় অভিনয় করতে যান।
সান্তা সাজলে সেই ইমেজে একটু ধাক্কা খেতে পারে। তখন না হয় থ্রি ইডিয়টসে আমির খানের ডায়লগটা প্যারোডি করে বাজিয়ে দেব... কামিয়াব নেহি কাবিল হোনে কে লিয়ে সান্তা বানো... কামিয়াবি তো ঝাক মারকে পিছে... (Original dialogue-Kamyab nahin kabil hone ke liye padon, kamyabi toh jhak maarke pechhe ... )

.