Bangladesh: মরসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই ডুবল পথঘাট! যানজট, ভোগান্তি সত্ত্বেও দাবদাহমুক্তিতে খুশি সকলেই...

Bangladesh Rain: ভারী বৃষ্টি এই প্রথম। মানুষ স্বস্তি পেয়েছেন। তবে জল জমেছে, যানজট তৈরি হয়েছে। মানুষের একটু ভোগান্তি হচ্ছে।

Updated By: May 6, 2024, 06:33 PM IST
Bangladesh: মরসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই ডুবল পথঘাট! যানজট, ভোগান্তি সত্ত্বেও দাবদাহমুক্তিতে খুশি সকলেই...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘন কালো মেঘে  ঢাকা দিগন্ত। দিনের বেলাতেও আকাশ অন্ধকার। বিকেলেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি এবং বজ্রপাত। নীচু এলাকা ডুবে যায়। যানবহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। গরমের কষ্ট থেকে মুক্তি মিললেও শহরে পথঘাট ডুবে গিয়েছে। চলাচলে কষ্ট। ভারী বৃষ্টি এই প্রথম। মানুষ স্বস্তি পেয়েছেন। তবে জল জমেছে, যানজট তৈরি হয়েছে। মানুষের একটু ভোগান্তি হচ্ছে। যাঁরা অফিস থেকে ফিরছেন তাঁরা খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন। গত ১ ঘণ্টা ধরে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। 

আরও পড়ুন: Orange Alert: রাজ্যে জারি অরেঞ্জ অ্যালার্ট! ক'দিনের জন্য, কোথায়-কোথায়? কেন?

এদিকে, দেশ জুড়ে বৃষ্টি কবে হতে পারে, তার সম্ভাব্য সময় জানিয়েছিল বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতর। তারা বলেছিল, আগামী ৪ থেকে ৫ মে দেশ জুড়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেটা মোটামুটি মিলে গিয়েছে। একদিন পরেই, মানে, আজ ৬ মে বাংলাদেশে নামল এই দুকূলপ্লাবী বৃষ্টি। 

কদিন আগেই জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশের যশোর, চুয়াডাঙা, রাজশাহি ও পাবনা জেলার উপর দিয়ে তীব্র অতি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। ঢাকা এবং রাজশাহি ও খুলনার বাকি এলাকাগুলি দিয়েও তীব্র তাপপ্রবাহ বইছিল। তখন আবহাওয়া অফিস আপাতত আগামী তিন দিনের আবহাওয়া-পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিয়েছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সিলেট ও চট্টগ্রামের দু-এক জায়গার কথা বলা হলেও সিলেটে এবং চট্টগ্রামে বৃষ্টি বাড়তে পারে। সে কথাই সত্যি প্রমাণিত হল। সিলেটে এবং চট্টগ্রামে বিপুল বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ৪ থেকে ৫ মে দেশের বড় অংশে বৃষ্টি হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট আবহাওয়াবিদ।

আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা! মঙ্গলবার বহু জেলায় কালবৈশাখীর অ্যালার্টও...

বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত ও ঝড় হয় মে মাসে। এর পর জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিলে। কিন্তু এবার এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র একটি ঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। তা-ও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। ঢাকা শহরে পরিস্থিতি খুবই সঙ্গিন। শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র দাবদাহের কবলে ছিল। সব মিলিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকাই তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে ছিল! অবশেষে এল মুক্তি। এল স্বস্তি!

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.