আশঙ্কাই সত্যি হল, রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ জানাল পাকিস্তান
রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে লিখিত বিবৃতি জমা দিল পাকিস্তান। বিবৃতিতে উল্লখ রয়েছে, রাহুল বলেছেন, কাশ্মীরে 'মানুষ মরছে'।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে লিখিত বিবৃতি জমা দিল পাকিস্তান। বিবৃতিতে উল্লখ রয়েছে, রাহুল বলেছেন, কাশ্মীরে 'মানুষ মরছে'।
পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারি মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের একাধিক আধিকারিকের হাতে ওই লিখিত বিবৃতি তুলে দিয়েছেন। বিবৃতিতে কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর বিশেষাধিকার প্রত্যাহার নিয়ে ফের কাঁদুনি গেয়েছে পাকিস্তান।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'কাশ্মীরে হিংসার ঘটনা নিজেদের বিবৃতিতে স্বীকার করেছেন ভারতের মূলধারার রাজনীতিবিদরা। যেমন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরে মানুষ মরছে। একের পর এক ভুল পদক্ষেপ করা হচ্ছে সেখানে।' পাকিস্তানের বিবৃতিতে পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার নামও রয়েছে।
পাকিস্তানের এহেন বিবৃতিতে চরম অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস। সঙ্গে সঙ্গে বিবৃতি প্রকাশ করা হয় দলের তরফে। তাতে বলে হয়েছে, 'জম্মু - কাশ্মীর নিয়ে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য টেনে ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে বিবৃতি জমা দিয়েছে পাকিস্তান। নিজেদের মিথ্যের ঝুলিকে সত্যি প্রমাণ করতে রাহুল গান্ধীকে এর মধ্যে টেনে এনেছে তারা। জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে, থাকবে। এব্যাপারে কারও কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। পাকিস্তানের কোনও দানবিক দালালি এই সত্যকে বদলাতে পারবে না।'
একই সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট, বালটিস্তান ও হুনজা মানবাধিকারের হাল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। সেদেশে ৭ কোটি মুহাজিরের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তারও পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে উল্লেখ রয়েছে বিবৃতিতে।
কাশ্মীরের বিশেষাধিকার প্রত্যাহারের পর থেকেই কংগ্রেস নেতাদের মন্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে শাসকদল বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী জম্মু - কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক দিন কয়েক আগেই কংগ্রেস-সহ বিরোধী নেতাদের কাশ্মীর নিয়ে বিবৃতি পাকিস্তান ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সেজন্যই বিরোধী নেতাদের কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছিলেন তিনি। জবাবে সত্যপাল মালিককে জম্মু-কাশ্মীর বিজেপির সভাপতি ঘোষণা করা উচিত বলে কটাক্ষ করেছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। সপ্তাহ ঘুরতে না-ঘুরতেই সত্যি হল সত্যপাল মালিকের আশঙ্কা।