প্রভাকরণ-পুত্রকে খুনের ছবি ফাঁস, নয়া বিতর্কে রাজাপক্ষে সরকার

আড়াই বছর আগেকার তামিল হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফের নয়া সঙ্কটে মাহিন্দা রাজাপক্ষে সরকার। সৌজন্যে, ব্রিটিশ টিভি `চ্যানেল ফোর`!

Updated By: Mar 12, 2012, 06:05 PM IST

আড়াই বছর আগেকার তামিল হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফের নয়া সঙ্কটে মাহিন্দা রাজাপক্ষে সরকার। সৌজন্যে, ব্রিটিশ টিভি `চ্যানেল ফোর`!
এলটিটিই বিদ্রোহীদের দমনের নামে ২০০৮-এ শ্রীলঙ্কা ফৌজের শুরু করা `নর্দান অফেন্সিভ`-এর সময় নির্মম তামিল সংহারের বেশ কিছু কীর্তিকলাপ ইতিমধ্যেই ফাঁস করেছে লন্ডনের এই নিউজ চ্যানেলটি। এবার জেনেভার এফআইএফডিএইচ তথ্যচিত্র উত্‍সবে লিবারেশন টাইগার অফ তামিল ইলম (এলটিটিই) সুপ্রিমো ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের ছোট ছেলে বালাচন্দ্রনকে খুনের ছবি প্রকাশ করল চ্যানেল ফোর। সংস্থার তরফে জানান হয়েছে, আগামী বুধবার টিভি`তে প্রচারিত হবে লঙ্কা সেনার নারকীয় আচরণের সচিত্র প্রমাণ।
উত্তর-পূর্ব শ্রীলঙ্কার মুল্লাইতিভুর অদূরে ২০০৯ সালের মে মাসে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত পর্যায়ের অপারেশনে মারা যান সপারিষদ ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ। তাঁর স্ত্রী মাথিবাদিনী, মেয়ে দ্বারকা, বড় ছেলে তথা এলটিটিই`র বিমান শাখার প্রধান চার্লস অ্যান্টনি এবং ছোট ছেলে, ১২ বছরের বালাচন্দ্রনও নিহত হন এই `ফাইনাল স্ট্রাইক`-এ। বালাচন্দ্রনের গুলিতে ঝাঁঝরা দেহেরপ ছবি এর আগে প্রকাশিত হয়েছে। কলম্বোর দাবি, নান্থিকাদাল লেগুনের পাশে `নো ফায়ার জোন`-এর কাছে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেই মারা যান প্রভাকরণ-সহ এলটিটিই-র শীর্ষনেতৃত্ব ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ইতিপূর্বে চ্যানেল ফোর-এর তরফে প্রচারিত বেশ কিছু `ফুটেজ`-এ রাজাপক্ষে সরকারের এই মিথ্যাচার ফাঁস হয়েছে।

২০০৯ সালের ১৮ মে তামিল টাইগারদের পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডার কর্নেল রমেশ সাদা পোশাকে পালানোর সময় লঙ্কা ফৌজের ৫৮ নম্বর ডিভিশনের হাতে আটক হন। তাঁকে জোর করে এলটিটিই`র টাইগার স্ট্রাইপ ইউনিপর্ম পরিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ-এ গুলি করে মারা হয়। একই পরিণতি হয়, আত্মসমর্পণকারী এলটিটিই নেতা নদেশন, পুল্লিদেবানের। আর সেই হত্যাকাণ্ডের ছবি ফাঁস করা হয় চ্যানেল ফোর-এর তথ্যচিত্র `শ্রীলঙ্কা`স কিলিং ফিল্ডস`-এ। কিন্তু এবার এলটিটিই প্রধানের শিশুপুত্রকে হত্যার ছবি বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হলে পুরো বিষয়টি নতুন মাত্রা পাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেক্ষেত্রে প্রবল আন্তর্জাতিক জনমতের চাপে কলম্বোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। আর সম্ভাব্য সেই পরিস্থিতিতে নিশ্চিত ভাবেই রাজাপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়বে নয়াদিল্লির উপর।

.