Pileus: চিনের আকাশে হঠাৎ আলোর ঝলকানি! রামধনু-মেঘের বিরল বিচ্ছুরণে হতবাক বিশ্ব
একটি রঙের মেঘের উপরে আরেকটি রঙের মেঘ পরপর মিলেই এই ধরনের রামধনুমেঘ তৈরি করে। ভূপৃষ্ঠ থেকে কম উচ্চতায় এই মেঘ তৈরি হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একসঙ্গে অনেক রঙের মেঘ! কিউমুলাস ক্লাউড। মসৃণ মেঘের আস্তরণ। কথায় বলে রামধনু-মেঘ। তবে তার একটা পোশাকি নামও আছে-- 'পিলিয়াস ক্লাউড'। চিনের গুয়াংডং প্রদেশ এই বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল। হঠাৎ দেখলে রামধনু বলে মনে হলেও, এটি আসলে মেঘ। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চিনের গুয়াংডং প্রদেশে অগস্ট মাসের শেষভাগে এই রামধনুর মতো মেঘ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। চিনের ওই প্রদেশের বাসিন্দারা মেঘটির ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই এটা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। পিলিয়াস, যাকে 'ক্যাপ ক্লাউড' বা 'স্কার্ফ ক্লাউড'ও বলা হয়, তা আসলে কিউমুলাস বা কিউমুলোনিম্বাস মেঘ। মূলত বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত বরফের ক্ষুদ্র কণা বা জলবিন্দু থেকেই এ ধরনের মেঘ তৈরি হয়। ছোট ছোট বরফকণা বা জলবিন্দুর উপর আলোকরশ্মি পড়ে নানা রঙের এই মেঘ তৈরি হয়ে ওঠে। ঠিক যেমন স্ফটিকের উপর আলো পড়লে তা থেকে বিভিন্ন রং বেরিয়ে আসে, তেমনই বরফকণা বা জলবিন্দুর উপরেও আলো পড়লে রঙিন আলোকরশ্মি বিচ্ছুরিত হয়। একটি রঙের মেঘের উপরে আরেকটি রঙের মেঘ পরপর মিলেই এই ধরনের রামধনুমেঘ তৈরি করে। ভূপষ্ঠ থেকে কম উচ্চতায় এই মেঘ তৈরি হয়। যদি বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে বা শীতল বাতাস হিমাঙ্কে পৌঁছে যায়, তখন এই ধরনের মেঘ তৈরি হতে পারে। এই মেঘ অত্যন্ত পাতলা হয়।
আরও পড়ুন: Antarctica: টানা ৪ মাসের অন্ধকার-পক্ষ পেরিয়ে অবশেষে সূর্যোদয়! অন্ধকারের উৎস হতে...
প্রকৃতিতে মাঝে-মাঝেই এরকম আশ্চর্য সব ঘটনা ঘটে। যার হঠাৎ কোনও ব্যাখ্যা মানুষের কাছে থাকে না। তবে বিজ্ঞানীরা নেমে পড়েন ব্যাখ্যা খুঁজতে। কিন্তু সৌন্দর্য উপভোগের ক্ষেত্রে কোনও অন্তরায় তৈরি হয় না। বরং ঘটনার পিছনের বিজ্ঞান না জেনেও মানুষ আহ্লাদিত হন। ছবি তোলেন। তা পোস্ট করে। সেখানে কমেন্ট করে। সব মিলিয়ে সাড়া পড়ে যায়। কিছু দিন আগে, যেমন আন্টার্কটিকার দিগন্তে নতুন সূর্যোদয়ের মনোমুগ্ধকর ছবি দেখে সাড়া পড়ে গিয়েছিল। একজন গবেষক-চিকিৎসক সেই ছবি তুলে পোস্ট করেছিলেন। আন্টার্কটিকায় মে মাসে শুরু হয়েছিল দীর্ঘ রাত্রির যুগ। শেষ হল অগস্টে। কাটল শীত। কাটল অন্ধকারও। আন্টার্কটিকায় এখন শুধুই সকাল। এই সময়েই গবেষকেরা যান এখানে। নতুন করে রিসার্চের কাজ সারেন। না হলে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কী সম্ভব? না, তখনও থেমে থাকে না গবেষণা। সেই শীতার্ত অন্ধকারও গবেষণার জন্য আদর্শ। বিশ্ব প্রকৃতির কত কিছুর বিষয়ে যে জানা যায় সেখান থেকে। কিন্তু আলোর স্পর্শ মানুষের কাছে সব সময়েই আনন্দের। ফলে, সূর্যোদয়ের পরে আন্টার্কটিকায় এ যেন আক্ষরিক অর্থেই অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো। টানা চার মাস কালো পিচের মতো অন্ধকার। সঙ্গে শীত ঋতুর রমরমা। এবার শীত শেষ, অন্ধকার-পক্ষ শেষ। এ যেন সত্যিই তিমিরবিদার উদার অভ্যুদয়!