নির্বাচনের শুরুতেই পাকিস্তানে বিস্ফোরণে মৃত ১০,আহত ৩৬

শনিবার পাকিস্তানে ঐতিহাসিক নির্বাচনের শুরুতেই চারটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের মাটি। করাচিতে আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে এই চারটি বিস্ফোরণ হয়েছে। সূত্রে খবর, এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। আহত হয়েছেন ৩৬ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ।

Updated By: May 11, 2013, 08:48 AM IST

শনিবার পাকিস্তানে ঐতিহাসিক নির্বাচনের শুরুতেই চারটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল
পাকিস্তানের মাটি। করাচিতে আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির নির্বাচন কার্যালয়ের
সামনে এই চারটি বিস্ফোরণ হয়েছে। সূত্রে খবর, এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১০
জনের। আহত হয়েছেন ৩৬ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ।
তালিবানি হুমকি অগ্রাহ্য করে পাকিস্তানে শুরু হয়ে গেল সাধারণ নির্বাচন। আজকেই ব্যালট বক্সে২৩,০০০ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যাবে।
শুরু থেকেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বানচাল করতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল তালিবান। প্রচার পর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ, কার্যালয়ে হামলা ভোটে প্রার্থী সহ প্রায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু প্রার্থী প্রাণের ভয়ে প্রচারেও যেতে পারেননি। আজও নির্বাচনের দিন দেশজুড়ে তাণ্ডবের হুমকি দিয়েছে তালিবান। পাকিস্তানের ছেষট্টি বছরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক সরকার খুব কম সময়ের জন্যই দেখা গেছে। অধিকাংশ সময়ই পাকিস্তান ছিল সেনাশাসক বা স্বৈরাচারী শাসকের নিয়ন্ত্রণে। তাই পিপিপি নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারের মেয়াদ শেষে সাধারণ নির্বাচন পাকিস্তানের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইল ফলক। কিন্তু দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রধান অন্তরায় তালিবান জঙ্গিরা।  
ভোটপর্ব যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটে তার জন্য আধাসেনার পাশাপাশি পাকিস্তান জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনীও।এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। ছেষট্টি বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সেদেশে পূর্ণ মেয়াদ শেষ করল একটি গণতান্ত্রিক সরকার। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জয়ী হয়েই ক্ষমতায় আসতে চলেছে নতুন অসামরিক সরকার। তবে আশঙ্কার মেঘ কাটেনি। তালিবানি হিংসার ছায়াতেই চলেছে ভোটের প্রচার পর্ব, যাবতীয় প্রস্তুতি। তালিবান জঙ্গিরা হুমকি দিয়েছে, নির্বাচনের দিন দেশজুড়ে হামলা চালাবে তারা। তাতেও দমে যাননি পাক জনতা।
ঝুঁকি নিচ্ছে না প্রশাসনও। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে লাহোর, করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডি, সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে থেকেই পাকিস্তানের প্রধান শহর থেকে তালিবান প্রভাবিত অঞ্চল, সব এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্য তৈরি পাকিস্তান। প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে কোনও দলই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবে না। তবুও সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে নওয়াজ শরিফ নেতৃত্বাধীন পিএমএলএন। প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদারও শরিফ। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছে ইমরান খানের তেহরিক-এ-ইনসাফ এবং ক্ষমতাশীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি।নওয়াজ শরিফ নাকি ক্ষমতাশীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থী? নাকি ইমরান খান? পাকিস্তানে ভোটের দামামা বেজে যাওয়ার পর থেকে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রচারযুদ্ধ শুরুর পর থেকে চলছে একাধিক প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষাও। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষায় কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার। এবারের নির্বাচনে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লিতে কোনও দলেরই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
 
 

.