কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুত্ প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে কাঁদুনি গাইল পাকিস্তান

পাক সেনার উরি হামলার পর সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির কার্যকারিতা বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছিল নয়া দিল্লি। বিতস্তার উপর কিষাণগঙ্গা বাঁধে জলবিদ্যুত্ তৈরি শুরু করলে প্রবল আপত্তি জানায় ইসলামাবাদ

Updated By: Jun 3, 2018, 03:54 PM IST
কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুত্ প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে কাঁদুনি গাইল পাকিস্তান
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিতস্তার (ঝিলম) উপর কিষাণগঙ্গা বাঁধ নিয়ে এবার বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে নালিশ জানাল পাকিস্তান। বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার পর এমনটাই দাবি ইসলামাবাদের। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কিষাণগঙ্গা বাঁধ নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁদের। চুক্তি ভেঙে ভারত যে ‘বেআইনিভাবে’জলবিদ্যুত তৈরি করছে বলে দাবি করে তার নেতিবাচক প্রভাব বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেছে পাকিস্তান।

আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে ‘লক্ষ্মীলাভ’ হতে পারে রাশিয়ার, বলছে সমীক্ষা

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ এবং ২২ মে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল আশতার আসফ আলি-র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধির দল। এই দলে ছিলেন সে দেশের সিন্ধু জল কমিশনার মেহর আলি শাহ, জলসম্পদ সচিব শামেইল খোয়াজা। বাঁধের উচ্চতা, জল ধরার ক্ষমতা এবং তার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। জলসম্পদ সচিব খোয়াজা জানিয়েছেন, অত্যন্ত সদর্থক আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের যুক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক।

আরও পড়ুন- পারভেজ মুশারফের পাসপোর্ট বাতিল করতে চলেছে পাকিস্তান, বাজেয়াপ্ত হবে সম্পত্তিও

পাক সেনার উরি হামলার পর সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির কার্যকারিতা বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছিল নয়া দিল্লি। বিতস্তার উপর কিষাণগঙ্গা বাঁধে জলবিদ্যুত্ তৈরি শুরু করলে প্রবল আপত্তি জানায় ইসলামাবাদ। তাদের দাবি, সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি ভঙ্গ করছে ভারত। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়ে বড়সড় ধাক্কা খায় তারা। বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়ে দেয়, জলপ্রবাহের কোনও বাধা সৃষ্টি না-করে তাদের নদ-নদীর উপর জলবিদ্যুত তৈরি করতে পারে ভারত।

আরও পড়ুন- বাড়বে সামরিক সহযোগ, হবে যৌথ নৌমহড়া, সিঙ্গাপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন মোদী

১৯৬০ সালে সিন্ধু এবং তার শাখা নদ-নদীর জলবণ্টন নিয়ে চুক্তি হয় ভারত-পাকিস্তানের। বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায়  হয়েছিল এই চুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের উপর দিয়ে প্রবাহিত সিন্ধু, চন্দ্রভাগা এবং বিতস্তার জলের উপর বেশি অধিকার থাকবে পাকিস্তানের। আর ইরাবতী, শতদ্রু, বিপাশার জলে বেশি অধিকার থাকবে ভারতের। কিন্তু পাকিস্তান যে ভাবে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে বারবার গুলি চালিয়েছে এমনকী সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে ভারতকে, এর পাল্টা জবাবে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি ভঙ্গের হুঁশিয়ারি দেয় ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে প্রবাহিত পাকিস্তানমুখী নদীগুলির প্রবাহ নয়াদিল্লি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করলে আগামী দিনে ভীষণ জলকষ্ট দেখা দিতে পারে পাকিস্তানে। 

আরও পড়ুন- পাকিস্তান নির্বাচনের লড়াইয়ে ‘চেয়ার’ পেল মুম্বই হামলার মূলচক্রী 

.