Imran Khan : ''তিন মাসে ভোট সম্ভব নয়'', পাক নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় নয়া উদ্বেগ
আইনি, সাংবিধানিক এবং পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকায় এত অল্পসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যাবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী ৩ মাসের মধ্যে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব না বলে জানিয়েছে পাক নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার জানিয়ে দিল মুখ্য নির্বাচন কমিশন। আইনি, সাংবিধানিক এবং পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকায় এত অল্পসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যাবে না।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বরখাস্ত করার কয়েক মিনিটের মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রবিবার তিন মাসের মধ্যে দ্রুত নির্বাচনের সুপারিশ করেন। তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন করানোর পিছনেও কৌশল রয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সে দেশের একটি দৈনিক সংবাদপত্রের দাবি, সাধারণ নির্বাচন করাতে অন্তত ছ’মাস সময় দরকার। তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ চলছে। তড়িঘড়ি সেই কাজ শেষ করা যাবে না।
আধিকারিক জানিয়েছেন, “নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধন করে কয়েকটি নির্বাচন কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। এত কম সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। পরবর্তী নির্বাচনের আগে অন্তত ছয় মাস সময় লাগবেই।”
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ব্যালট পেপারের ব্যবস্থা করার জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। 'ওয়াটার মার্ক' এর পরিবর্তে সিকিওরিটি ফিচারস যোগ করা হবে। আধিকারিক বলেছেন যে কমিশন ইতিমধ্যে বেলুচিস্তানে স্থানীয় সরকার (এলজি) নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে, ২৯ মে ভোটের দিন হিসাবে নির্ধারণ করেছে, যখন পঞ্জাব, সিন্ধু এবং ইসলামাবাদে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, কোভিড-উত্তর পর্বে পাকিস্তানের অর্থনীতি কার্যত তলিয়ে যাওয়ার মুখে। এমন অবস্থায় ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অপশাসন তো বটেই, সরকারি কোষাগারের টাকা অপ্রয়োজনে খরচের অভিযোগও উঠেছে।
আরও পড়ুন, Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য এবার কী? যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পিছিয়ে পড়ছে রাশিয়া?