এবার জঙ্গি হামলা পাক বিমানঘাঁটিতে

পাকিস্তানের কামরা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারালেন ২ নিরাপত্তারক্ষী। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৭ জঙ্গিও। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে পঞ্জাব প্রদেশে পাক বিমানবাহিনীর কামরা বিমানঘাঁটিতে সেনার পোশাকে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা।

Updated By: Aug 16, 2012, 09:15 AM IST

পাকিস্তানের কামরা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারালেন ২ নিরাপত্তারক্ষী। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৭ জঙ্গিও। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে পঞ্জাব প্রদেশে পাক বিমানবাহিনীর কামরা বিমানঘাঁটিতে সেনার পোশাকে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা।
জঙ্গিদের কাছে ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও গ্রেনেড। তাদের হামলার মুখে পড়ে প্রাথমিকভাবে বেসামাল হয়ে পড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পাক সেনাবাহিনীর এলিট কম্যান্ডো ফোর্সের জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার গুলির লড়াইয়ে অন্তত ৭ জঙ্গির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে। মিলেছে এক আত্মঘাতী জঙ্গির দেহও। হামলায় প্রাণ হারান ১ সেনা জওয়ান-সহ ২ নিরাপত্তাকর্মী। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।

হামলার সময় বিমানঘাঁটিতে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমান ছিল বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওই বিমানঘাঁটির দখল নিয়ে বিমানগুলি ধ্বংস করা ও বেশ কিছু সেনা অফিসারকে পণবন্দি করাই লক্ষ্য ছিল জঙ্গিদের। তবে জঙ্গি হামলায় কোনও বিমানের ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে পাক প্রশাসন। 
এর আগে গত বছর করাচির মেহরান নৌঘাঁটিতেও একই কায়দায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ২০০৯ সালে লাহোরের অনতিদূরে মানওয়ান পুলিস অ্যাকাডেমি এবং রওয়ানপিন্ডির সেনা সদর দফতরেরও আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল তেহরিক-ই-তালিবান গোষ্ঠী। রওয়ালপিন্ডিতে তালিবান সন্ত্রাসের বলি হয়েছিলেন ১ ব্রিগেডিয়ার ও ১ কর্নেল সমেত ১২ জন সেনা। এমনকী চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অ্যাবটাবাদের কাকুল মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে রকেট হামলা চালিয়ে নিজেদের শক্তি জানান দিয়েছে পাত জঙ্গিরা। কামরা বিমানঘাঁটির এই জঙ্গি হামলার ঘটনার জেরে সারা দেশের সমস্ত বিমানবন্দর ও সেনাছাউনিতে চরম সতর্কতা জারি করেছে পাক সরকার।

.