জারদারির নির্দেশে মুক্তি পাচ্ছেন সরবজিত্‍‌ সিং

ফাঁসির আদেশ মুলতুবি হয়েছিল আগেই। এবার নাশকতার দায়ে লাহোরের কোট লাখপত জেলে বন্দি ভারতীয় নাগরিক সরবজিত্‍ সিংয়ের মৃত্যুদণ্ড মকুব করে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। ১৯৯০ সালে লাহোর ও মুলতানে দু`টি পৃথক বিস্ফোরণে ১৪ জনকে হত্যার দায়ে পঞ্জাবের এই বাসিন্দাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল পাক সুপ্রিম কোর্ট।

Updated By: Jun 26, 2012, 08:21 PM IST

ফাঁসির আদেশ মুলতুবি হয়েছিল আগেই। এবার নাশকতার দায়ে লাহোরের কোট লাখপত জেলে বন্দি ভারতীয় নাগরিক সরবজিত্‍ সিংয়ের মৃত্যুদণ্ড মকুব করে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। ১৯৯০ সালে লাহোর ও মুলতানে দু`টি পৃথক বিস্ফোরণে ১৪ জনকে হত্যার দায়ে পঞ্জাবের এই বাসিন্দাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার এজেন্ট হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছিল। যদিও সরবজিতের পরিবারের দাবি, রাতের অন্ধকারে ভুলক্রমে সীমান্ত পেরিয়ে ১৯৯০ সালের অগাস্ট মাসে পাক ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি।
চলতি বছরের ২৮ মে প্রেসিডেন্ট জারদারির ক্ষমাপ্রার্থনার করেছিলেন সরবজিত্‍। জেলবন্দি অবস্থায় এটি ছিল তাঁর পঞ্চম আবেদন। পাক আইনমন্ত্রকের তরফে পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জারদারি সেই সুপারিশ মেনে বিশেষ সাংবিধানিক অধিকারবলে সরবজিত্‍‌কে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। জেনারেল পারভেজ মুশারফের জমানায় ভারতের হয়ে ও গুপ্তচরবৃত্তি ও পাকিস্তানের মাটিতে নাশকতার দায়ে দোষী সাব্যস্ত সরবজিতের ফাঁসির দিনক্ষণ স্থির হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তত্‍কালীন পাক মানবাধিকার সংক্রান্ত মন্ত্রী আনসার বার্নির তত্‍পরতায় মুলতুবি হয় মৃত্যুদণ্ড। পরবর্তীকালে ২০০৮ সালে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ধৃত কাশ্মীর সিং ৩৪ বছর পর পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সরবজিত্‍ সিংয়ের মুক্তির দাবি ওঠে পাক নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলির তরফে।
চলতি বছরের ৮ এপ্রিল জারদারির আজমেঢ় সফরের সময় সরবজিত্‍ সিংয়ের বোন দলবীর কউর ও মেয়ে স্বপ্নদীপ তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আবেদন জানান। সরবজিতের মুক্তি চেয়ে এক লক্ষ ভারতীয় নাগরিকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি চিঠিও পাঠান হয় পাক প্রেসিডেন্টের কাছে। তাত্‍পর্যপূর্ণভাবে জারদারির আজমেঢ় দর্শনের পরই, গত ১১ এপ্রিল একটি খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পাক ডাক্তার খলিল চিস্তিকে মুক্তি দেয় ভারত। আর এর পরই ২২ বছর ধরে পাক জেলে বন্দি সরবজিত্‍ সিংয়ের মুক্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়।

.