মিশরে খৎনা বিরোধী আইনের বিরোধীতা
মিশরে নারীদের 'খৎনা প্রথা' (এর মাধ্যমে মেয়েদের যৌনক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়) বন্ধ করার জন্য সম্প্রতি পাস হয়েছে আইন। কারণ জোর করে এক কিশোরীর যৌন ক্ষমতা কমানের জন্য খৎনা করার সময় তার মৃত্যু হয়েছে। সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে, আর সেই প্রতিবাদের ফলেই খাতনা বিরোধী আইন পাস হয়।
ওয়েব ডেস্ক: মিশরে নারীদের 'খৎনা প্রথা' (এর মাধ্যমে মেয়েদের যৌনক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়) বন্ধ করার জন্য সম্প্রতি পাস হয়েছে আইন। কারণ জোর করে এক কিশোরীর যৌন ক্ষমতা কমানের জন্য খৎনা করার সময় তার মৃত্যু হয়েছে। সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে, আর সেই প্রতিবাদের ফলেই খাতনা বিরোধী আইন পাস হয়।
কিন্তু মিশরেরই এক আইন প্রণেতা খৎনা আইনের বিরোধীতা করে বলেন, "মিশরের অর্ধেক পুরুষই নপুংসক"। নতুন আইনের বিরোধিতা করে আইনপ্রণেতা ইলহামি আগিনা বলেন, যৌন চাহিদা কমাতে এবং মিশরীয় পুরুষদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতেই নারীদের খৎনা করানো হয়। তিনি বলেন, ‘এটা বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার ফল। ৫০ শতাংশ মিশরীয় পুরুষ যৌনমিলনে অক্ষম। তারা নারীদেরকে যৌন সুখ দিতে ব্যর্থ। এটা এক ধরণের রোগ। আমরা যদি নারীদের খৎনা করানো বন্ধ করে দেই, তাহলে আমাদের যৌন সমর্থ্যবান পুরুষ প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের মধ্যে এ ধরণের পুরুষ নাই।’
আরও পড়ুন- উত্তর কোরিয়ার পরমানু পরীক্ষায় কাঁপুনি দুনিয়া জুড়ে
মিশরের এই আইন ও তার বিরোধীতার প্রেক্ষিতে আবারও সামনে চলে এল খৎনা প্রসঙ্গ। খৎনা বিরোধীদের অভিযোগ, যে সকল পুরুষ নারী খৎনার পক্ষে তারা মূলত নিজের যৌন অক্ষমতা আড়াল করতেই এই 'অমানবিক' খৎনা প্রথা বাঁচিয়ে রাখতে চায়। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সাল থেকেই খৎনা রোধের আইন বলবত্ আছে মিশরে। তবু আইনের বেড়াজাল টপকে দেশে চলছিল এই প্রথা। ইউনিসেফের হিসেবে দেশটিতে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৮৭ শতাংশ নারীর খৎনা করা হতো। তবে ১৯৮৫ সালের পর থেকে এ হার কমতে শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপে দেখা যায় আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ২৯টি দেশে প্রতি বছর ১২ কোটি নারী খৎনার যেকোন একটি প্রক্রিয়ার শিকার হচ্ছে।