মিশরের বুকে আছড়ে পড়া পৃথিবীর প্রাচীনতম ধূমকেতুর সন্ধান পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা
প্রায় তিন কোটি বছর আগেকার কথা। মিশরে আছড়ে পড়েছিল একটি ধূমকেতু। ওই বিস্ফোরণের ফলে মরুভূমির তাপমাত্রা দুহাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল । বালি গলে তৈরি হয়েছিল হলুদ কাঁচ। সেই ধূমকেতুর একটি অংশ খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি,এটিই এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীনতম ধূমকেতুর নিদর্শন।
প্রায় তিন কোটি বছর আগেকার কথা। মিশরে আছড়ে পড়েছিল একটি ধূমকেতু। ওই বিস্ফোরণের ফলে মরুভূমির তাপমাত্রা দুহাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল । বালি গলে তৈরি হয়েছিল হলুদ কাঁচ। সেই ধূমকেতুর একটি অংশ খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি,এটিই এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীনতম ধূমকেতুর নিদর্শন।
কালো হিরের মতো দেখতে এই বস্তুটি আদতে একটি ধূমকেতুর অংশ। যা পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল ২ কোটি ৮০ লক্ষ বছর আগে। তার অভিঘাতে তেতে গিয়েছিল মিশরের মরুভূমি। বালি গলে সৃষ্টি হয় প্রচুর হলুদ কাঁচ । সাহারা মরুভূমিতে প্রায় ছ হাজার কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে সেই হলুদ সিলিকা। সম্রাট তুতাঙ্খমুনের মমিতে যে ব্রোচটি রয়েছে,তার মধ্যমণি একটি হলুদ পাথর। সেটিও আসলে মরুভূমির ওই হলুদ কাঁচ। ধূমকেতুর তাপে যার জন্ম।
মিশরেরই এক ভূতত্ত্ববিদ ধূমকেতুর অংশটি আবিষ্কার করেছেন। বিজ্ঞানীরা এর নাম রেখেছেন হাইপ্যাশিয়া। হাইপ্যাশিয়া ছিলেন মিশরের এক বিদূষী মহিলা । যিনি একাধারে জ্যোতির্বিজ্ঞানী,গণিতজ্ঞ এবং দার্শনিক ।
পৃথিবীতে ধূমকেতুর অংশ খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে কিছু অণু পরমাণু পাওয়া যায়। দক্ষিণ মেরু তুষারেও সামান্য কিছু ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মিলেছে। কিন্তু তা থেকে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরিক্ষা চালানো কঠিন। হাইপ্যাশিয়া থেকে অন্তত গবেষণা করার রসদ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এই সংক্রান্ত তথ্য আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্সেস পত্রিকায় প্রকাশিত হবে।