পরমাণু সন্ত্রাস মোকাবিলায় ঐক্যমত্য সিওলে
পরমাণু সন্ত্রাসই এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিপদ। দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে বিষয়টি মেনে নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা যাতে কোনও মতেই পরমাণু শক্তির নাগাল না পায় তা নিশ্চিত করতে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন ৫৮টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
পরমাণু সন্ত্রাসই এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিপদ। দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে বিষয়টি মেনে নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা যাতে কোনও মতেই পরমাণু শক্তির নাগাল না পায় তা নিশ্চিত করতে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন ৫৮টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
পরমাণু সুরক্ষা ও পরমাণু নিরাপত্তা। সিওলের সম্মেলনে দুটি বিষয়কেই সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র শুধু নয়, অসামরিক পরমাণু চুল্লিও যে মানব সভ্যতার ক্ষেত্রে কতটা মারাত্মক হতে পারে তার সাম্প্রতিক প্রমাণ ফুকুশিমা। সিওলের সম্মেলনে তাই পরমাণু সুরক্ষা ও পরমাণু নিরাপত্তাকে একই পঙক্তিতে রেখে সম্ভাব্য সমস্যার উত্তর খোঁজার চেষ্টা হয়েছে। তবে পরমাণু দুর্ঘটনার বিপদের কথা স্বীকার করে নেওয়া হলেও, পরমাণু সন্ত্রাসকেই সবচেয়ে বেশি আশঙ্কার মনে করছে উন্নয়নশীল ও উন্নত বিশ্বের দেশগুলি। পরমাণু সন্ত্রাসকেই সবচেয়ে বড় বিপদ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারতও। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, ``তালিবান কিংবা আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনের হাতে পরমাণু অস্ত্র কিংবা প্রযুক্তি পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।``
অধিকাংশ রাষ্ট্রপ্রধানই মনমোহন সিংয়ের বক্তব্যের পক্ষেই মতপ্রকাশ করেছেন। সন্ত্রাসবাদীরা যাতে কোনওমতেই পরমাণু জ্বালানি এবং পরমাণু অস্ত্র প্রযুক্তির নাগাল না পায়, তার জন্য এবারের সম্মেলনে একাধিক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে পারস্পরিক সহযোগিতা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের ওপর।