হাজতে নীরব, জামিনের আবেদন খারিজ ব্রিটেনের আদালতে
পিএনবি-র ১৩,৫০০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপ করে বিদেশে গা ঢাকা দেন নীরব মোদী
নিজস্ব প্রতিবেদন: নীরব মোদীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার আদালত। এদিন জামিনের আর্জি পেশ করে আদালতে নীরব মোদী জানান, কর মেটাতে সবরকম সহযোগিতা করবেন। ভ্রমণ নথিও পেশ করেন নীরব। কিন্তু তাঁর আবেদনে সাড়া দেননি বিচারক। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ মার্চ।
পিএনবি-র ১৩,৫০০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপ করে বিদেশে গা ঢাকা দেন নীরব মোদী। অতিসম্প্রতি লন্ডনের রাস্তায় তাঁকে খুঁজে বের করেন দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক। মোদী সরকারের উপরে চাপ বাড়ায় বিরোধীরা। বুধবার লন্ডনের হলবর্ন মেট্রো স্টেশনে নীরবকে গ্রেফতার করে ব্রিটেনের পুলিস।
Nirav Modi's bail plea rejected by London Court, to remain in custody till March 29 pic.twitter.com/1KmWUqnfr5
— ANI (@ANI) March 20, 2019
এদিকে মুম্বইয়ের আর্থিক তছরূপ আদালতে নীরব মোদীর মালিকানায় থাকা ১৭৩টি ছবি ও ১১টি গাড়ি নিলামের জন্য আবেদন করেছিল ইডি। নীরব গাড়ি ও ছবি নিলামের আবেদনে সাড়া দিয়েছে আদালত। এমনকি নীরবের স্ত্রী অ্যামি মোদীর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা।
আরও পড়ুন- সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ মামলায় অসীমানন্দ-সহ ৪ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই দেশ ছাড়েন নীরব মোদী। সেই থেকে লন্ডনেই আত্মগোপন করে ছিলেন তিনি। চলতি মাসেই লন্ডনে তাঁকে ধাওয়া করে দ্য টেলিগ্রাফের এক সাংবাদিক। দেখা যায় লন্ডনে প্রকাশ্য রাস্তায় ৯ লক্ষ টাকা দামের জ্যাকেট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। সাংবাদিকের একাধিক প্রশ্নের কোনওটিরই উত্তর দেননি তিনি।
ওদিকে অভিযোগ ওঠে নীরব মোদীকে ফেরত পেতে যথেষ্ট তত্পর নয় ভারত। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার আদালত নীরব মোদীর বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগের স্বপক্ষে ভারত সরকারকে নথি পেশ করতে বললেও সেই নথি জমা পড়েনি। এতে অস্বস্তি বাড়ে সরকারের।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে চতুর্মুর্খী আক্রমণ শুরু করে বিরোধীরা। মোদীর সঙ্গে শলা করেই নীরব দেশ ছেড়েন বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। নীরব মোদী ও তার মামা মেহুল চোসকির অন্তর্ধান নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছিল শাসকদল বিজেপির নেতাদের। ভোটের মুখে এই গ্রেফতারি তাঁদের কিছুটা স্বস্তি দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।