আলাদা হয়ে নতুন জীবনে নাইজেরিয়ার গঙ্গা-যমুনা

এক বছর আগে যমজ মেয়ের জন্ম খুশির বদলে একরাশ দুঃশ্চিন্তা নিয়ে এসেছিলেন নাইজেরিয়ান বাবা-মায়ের জীবনে। শিরদাঁড়া, অন্ত্র, জননতন্ত্র ও রেচনতন্ত্র একসঙ্গে জোড়া ছিল যমজ বোন হুসেইনা ও হাসানা বাদারুর। তাদের বাঁচার আশা নিয়ে যখন হাল প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন নাইজেরিয়ার চিকিত্সকরা, তখনও হার মানেননি বাবা-মা। শুনেছিলেন ভারতে এই ধরনের অস্ত্রপচার করা হয়। সাত মাসের মেয়েদের উড়িয়ে এনেছিলেন এই দেশে। সফল অস্ত্রপচারের পর আজ তাদের প্রথম জন্মদিন পালন করল দুই বোন।

Updated By: Sep 8, 2013, 11:01 PM IST

এক বছর আগে যমজ মেয়ের জন্ম খুশির বদলে একরাশ দুঃশ্চিন্তা নিয়ে এসেছিলেন নাইজেরিয়ান বাবা-মায়ের জীবনে। শিরদাঁড়া, অন্ত্র, জননতন্ত্র ও রেচনতন্ত্র একসঙ্গে জোড়া ছিল যমজ বোন হুসেইনা ও হাসানা বাদারুর। তাদের বাঁচার আশা নিয়ে যখন হাল প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন নাইজেরিয়ার চিকিত্সকরা, তখনও হার মানেননি বাবা-মা। শুনেছিলেন ভারতে এই ধরনের অস্ত্রপচার করা হয়। সাত মাসের মেয়েদের উড়িয়ে এনেছিলেন এই দেশে। সফল অস্ত্রপচারের পর আজ তাদের প্রথম জন্মদিন পালন করল দুই বোন।
দিল্লির বিএলকে এসএসএইচ হাসপাতালের শিশুবিভাগের চিকিত্সক প্রশান্ত জৈন জানালেন, "বাদারু বোনেদের আলাদা করা করা কঠিনতম অস্ত্রপচারগুলির একটি ছিল। ওদের অন্ত্র, জনন-রেচন তন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র একসঙ্গে জোড়া ছিল। ডামি ব্যবহার করে অনেকবার মহড়া দেওয়ার পর আমরা অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নিই। এই ধরনের অস্ত্রপচারে সাফল্যের হার মাত্র ৩০ শতাংশ।"
৪০ জন চিকিত্সকের টিম, ১০টি আলাদা সেট আপ নিয়ে মোট ৩টি ধাপে অস্ত্রপচার করেছেন। ১৩ ঘণ্টা টানা অস্ত্রপচারের পর তাদের দুটো আলাদা অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। এরপর টানা ৫ ঘণ্টা ধরে প্লাস্টিক ও রিকনস্ট্রকটিভ সার্জন ডা. এ কে বাথ দুজনের শরীরে নতুন জনন-রেচন তন্ত্র ও যোনি তৈরি করেন। অন্ত্র সারিয়ে তুলে তৈরি করেন আলাদা পায়ুছিদ্র।
অস্ত্রপচারের পর চিকিত্সকদের ডাকা প্রেস কনফারেন্সে হাসিমুখেই বসেছিলেন দুই বোন। মা মালামা বাদারিয়া বাদারু দুই মেয়েকে আলাদাভাবে কোলে নিতে পেরে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি।

.