জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল নয়া পাক প্রেসিডেন্টের পরিবারের
মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আলভি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির পদপ্রার্থী এজ়াজ় এহসান এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ়) মৌলানা ফজ়ল উর রহমানকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন তিনি
নিজস্ব প্রতিবেদন: বয়স ৬৯। ১৩ তম পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হলেন দন্ত চিকিত্সক তথা পাকিস্তান তেহেরিক ইনসাফের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডক্টর আরিফ আলভি। তবে, পূর্বসূরী পাক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলভিরও এক অদ্ভূত মিল রয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা শেয়ার করতেই ভারতেও চর্চা পাত্র হয়ে উঠেছেন রাতারাতি। কী সেই মিল?
মামুন হুসেন, পারভেজ মুশারফের মতো আলভিরও ভারতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক ছিল। কেমন সম্পর্ক? পাক প্রেসিডেন্ট আলভি জানান, জওহরলাল নেহরুর পারিবারিক দন্ত চিকিত্সক ছিলেন আলভির বাবা হাবিব উর রেহমান এলাহি আলভি। দেশভাগে পর করাচিতে চলে আসেন আলভির বাবা। মহম্মদ আলি জিন্নাহের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে সাক্ষাত্কারে জানান প্রেসিডেন্ট আলভি। উল্লেখ্য, প্রাক্তন দুই পাক প্রেসিডেন্ট মামুন হুসেন এবং পারভেজ মুশারফ দেশভাগের পর যথাক্রমে আগ্রা এবং নিউ দিল্লি থেকে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নেন পাকিস্তানে।
আরও পড়ুন- ব্রাজিলে ২০০ বছরের পুরনো জাদুঘর পুড়ে ছাই!
মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আলভি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির পদপ্রার্থী এজ়াজ় এহসান এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ়) মৌলানা ফজ়ল উর রহমানকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ১৯৪৯ সালে করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন পাক প্রেসিডেন্ট। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা কালীন রাজনীতিতে প্রবেশ করেন আলভি। পরবর্তীকালে জামাত-ই-ইসলামি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। তত্কালীন আয়ুব খানের মিলিটারি সরকারের বিরোধিতা করে রাজনীতির জমি পাকা করে ফেলেন তিনি। ইমরান খান যখন পাকিস্তান তেহেরিক ইনসাফ দল তৈরি করেন প্রথম দিন থেকেই সেই দলের কর্মকর্তা ছিলেন আলভি। ১৯৯৭ সালে ইমরান খানের দলের হয়ে প্রথম নির্বাচনেই হেরে যান আজকের পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
আরও পড়ুন- কুখ্যাত হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতার ইন্তেকাল