Sheikh Hasina: 'নির্বিচারে গণহত্যা'র দায়ে শেখ হাসিনা-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে এবার খুনের মামলা...

Sheikh Hasina: ঢাকার মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামের এক মুদিদোকানিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এফআইর হিসাবে রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত।

Updated By: Aug 13, 2024, 04:57 PM IST
Sheikh Hasina: 'নির্বিচারে গণহত্যা'র দায়ে শেখ হাসিনা-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে এবার খুনের মামলা...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina), দলের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে খুনের মামলা। মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এ মামলার আবেদন করেন। ৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলা মোহাম্মদপুর থানাকে এফআইআর (FIR) হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন- Sheikh Hasina: যাওয়ার জায়গা নেই, যতদিন না বাংলাদেশে ফিরছেন ভারতেই থাকবেন হাসিনা...

এইদিন সকালে আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এই হত্যা মামলার আবেদন করেন। মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে এই মামলা করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এই বিষয়ে পরে নির্দেশ দেন। মামলার আরজিতে বলা হয়, সম্প্রতি কোটা সংস্কারের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন গতি পায়। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনকে দমানোর জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার দমনপীড়ন শুরু করে। শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে পুলিশ বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালায়।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তায় কোটা আন্দোলনের সমর্থনে বেরনো মিছিলে পুলিস নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। সেই সময় মোহাম্মদপুর বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ (৪৫), পিতা-অজ্ঞাত, রাস্তা পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় পুলিসের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। আরজিতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। যেহেতু সুদূর পঞ্চগড়ে নিহত আবু সায়েদের গ্রামের বাড়ি এবং তাঁর পরিবার অত্যন্ত গরিব। তাঁরা আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। সেই কারণে সচেতন নাগরিক হিসেবে আবু সায়েদের হত্যার বিচার দাবি করে এ মামলা দায়ের করলেন এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি।

আরও পড়ুন- Sheikh Hasina: বিল মেটাতে কম পড়ল টাকা! ভারতে এসে কেনাকাটা করতে গিয়ে বিপাকে হাসিনা...

আরজিতে বলা হয়, 'সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী আন্দোলন চলাকালে শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দিয়েছে। প্রাক্তন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারুন-অর-রশীদ এবং বাকিরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে তাদের অধীনস্ত পুলিস সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিসকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেয়। অন্যান্য আরও অজ্ঞাতনামা পুলিস কর্মকর্তা, পুলিস সদস্য ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর নির্দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার নিরীহ ছাত্র-জনতাকে পরস্পর যোগসাজসে হত্যা করে অভিযুক্তরা। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া আবশ্যক। সেই কারণেই এই মামলা। আবু সায়েদ হত্যার তদন্ত হলে অজ্ঞাতনামা আরও তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও পুলিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পুলিসের সদস্যদের নাম উঠে আসবে'।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা ছাড়াও এই মামলায় আরও যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন—প্রাক্তন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাক্তন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি হারুন-অর-রশীদ ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল) 

.