সাতেরো শতকের এক নোবেল মহিলা ও তাঁর প্রেমিকের হৃদপিণ্ডর মমির খোঁজ মিলল ফ্রান্সে
সখী, ভালোবাসা কারে কয়! সে কি কেবলই যাতনাময়। রবীন্দ্রনাথের গানের এই লাইন দিয়েই হয়ত এই খবরটি পরিবেশনা করা ভালো। ফ্রান্সের রেনসে এক সমাধিস্থান থেকে উদ্ধার হয় সাতেরো শতকের একটি মমির। সেই মমিটি ছিল ব্রিটানির সভ্রান্ত পরিবারের এক মহিলার । কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি বড় লকেট। যার মধ্যে ছিল একটি সত্যিকারের হৃদপিণ্ড!
ওয়েব ডেস্ক: সখী, ভালোবাসা কারে কয়! সে কি কেবলই যাতনাময়। রবীন্দ্রনাথের গানের এই লাইন দিয়েই হয়ত এই খবরটি পরিবেশনা করা ভালো। ফ্রান্সের রেনসে এক সমাধিস্থান থেকে উদ্ধার হয় সাতেরো শতকের একটি মমির। সেই মমিটি ছিল ব্রিটানির সভ্রান্ত পরিবারের এক মহিলার । কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি বড় লকেট। যার মধ্যে ছিল একটি সত্যিকারের হৃদপিণ্ড!
অবাক হলেন? এটাই ভালোবাসার গভীরতা। মৃত্যুর পরেও 'হৃদয়ের মৃত্যু' হয় না। তাই হয়ত তিনি চেয়েছিলেন সমাধিস্থানে রাখা হোক তাঁর স্বামীর হৃদপিণ্ড। মৃত্যুর পরেও শতাব্দীর পর শতাব্দী মাটির গভীরে চলবে নীরবে প্রেম নিবেদন।
ফ্রেঞ্চ ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট ফর প্রিভেন্টিভ আরকিয়োলজিক্যালের তত্ত্ববধানে ফ্রান্সের রেনসে এক সমাধিস্থানে খোঁজ মেলে এই মমির। প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করছেন, মমিটি লুইস দ্য কোয়েনগোর, এক সভ্রান্ত পরিবারের বিধবা মহিলা। তাঁর মমি থেকে পাওয়া যায় একটি লকেট, যেখানে রয়েছে তাঁর স্বামীর সংরক্ষিত হৃদপিণ্ডের মমিও।
এখনও কোয়েনগোর শরীরের অনেক অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও টিস্যু নরম রয়েছে। তাঁর কিডনি পরীক্ষা করে মিলেছে কিছু পাথর। যক্ষায়ও আক্রান্ত হয়েছিলেন কোয়েনগো। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করছেন, তিনি প্লেগ রোগেই মারা গিয়েছিলেন। তবে তাঁদের কাছে ধোঁয়াশা রয়েছে এই হৃদপিণ্ড কেন মমির সঙ্গে রাখা ছিল? সেটা কি শুধুমাত্র তাঁর অন্তিম ইচ্ছা নাকি সেইসময়ে রীতি ছিল।