মা দিবসে এক সাহসী ছেলের মা-কে বাঁচানোর সত্যি ঘটনা

আজ মা দিবস বা মাদার্স ডে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিশেষ দিনটায় সবাই কেমন যেন আবেগের ঘোরে পড়ে গিয়েছেন। বলিউড সেলেব থেকে আম জনতা, সবাই তাদের মা-কে নিয়ে নানা কথা শেয়ার করছেন। এমন একটা দিনে, আসুন এমন ছেলের কথা যে মাত্র ৯ বছর বয়সে মা-কে বাঁচায়।

Updated By: May 8, 2016, 01:25 PM IST
মা দিবসে এক সাহসী ছেলের মা-কে বাঁচানোর সত্যি ঘটনা

ওয়েব ডেস্ক: আজ মা দিবস বা মাদার্স ডে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিশেষ দিনটায় সবাই কেমন যেন আবেগের ঘোরে পড়ে গিয়েছেন। বলিউড সেলেব থেকে আম জনতা, সবাই তাদের মা-কে নিয়ে নানা কথা শেয়ার করছেন। এমন একটা দিনে, আসুন এমন ছেলের কথা যে মাত্র ১০ বছর বয়সে মা-কে বাঁচায়।

সালটা ১৯৮৮। ১০ বছরের ছোট্ট ম্যাক জনসন ঘুমোতে যাবে বলে মা-কে ডাকল। কিন্তু মা-র ঘর থেকে একটা চিত্‍কার শুনে জনসন ছুটে গেল। জনসন দেখলো মুখোশ পরে একটা লোক তার মাকে ছুরি দিয়ে মারতে যাচ্ছে, আর মা ভয়ে পালাচ্ছে। জনসন ছুটে গেল মুখোশ পরা লোকটার দিকে। লোকটা জনসনকে আক্রমণ করল। ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত জনসন পড়ে গেল মেঝেতে। লোকটা এবার জনসনের মা-কে মারতে এগিয়ে গেল।

জনসন উঠে দাঁড়িয়ে ছোট হাতে লোকটার পা-টা পিছন দিকে টেনে ধরে ছুরিটা ছিনিয়ে নিল। এবার সেই ছুরিটা নিয়ে পরপর ৯বার মুখোশ পরা লোকটাকে আঘাত করল। লোকটা চিত্‍কার করে মেঝেতে শুয়ে পড়ল। জনসন ফোন করল পুলিসে। লোকটা গুরুতর আহত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকল। পুলিস এসে যখন লোকটার মুখোশ খেলল দেখল মুখোশ পরা লোকটা আর কেউ নয়, জনসনের বাবা। ঘটনাটা ঘটেছিল জর্জিয়ায়। জনসনকে সাহসিকতার জন্য বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। জনসনের বাবা বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্কের জেরে খুনটা করতে চেয়েছিল। এই ঘটনাটা নিয়ে সিনেমাও তৈরি হয়।

মা দিবসে এমনই এক ছেলেরা কথা শেয়ার করতে ইচ্ছা হল।

 

.