কল্পবিজ্ঞানের পাতা ছেড়ে এবার বাস্তবে সমুদ্রের তলায় মেট্রো শহর!
বাড়ছে জনসংখ্যা। এই সেই তুলনায় পৃথিবীর মাটিতে নেই পর্যাপ্ত স্থান। যেভাবে বাস্তু সম্পত্তির দাম হুহু করে বাড়ছে ইচ্ছা থাকলেও কপালে মনের মত ছাদ জুটছে না অনেকের। এবার সেই সব সমস্যার সমাধান করতে সমুদ্রের নীচে শহর তৈরি করতে উদ্যোগী হল জাপানের এক কন্সট্রাকশন কোম্পানি।
![কল্পবিজ্ঞানের পাতা ছেড়ে এবার বাস্তবে সমুদ্রের তলায় মেট্রো শহর! কল্পবিজ্ঞানের পাতা ছেড়ে এবার বাস্তবে সমুদ্রের তলায় মেট্রো শহর!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2014/11/26/31700-city.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: বাড়ছে জনসংখ্যা। এই সেই তুলনায় পৃথিবীর মাটিতে নেই পর্যাপ্ত স্থান। যেভাবে বাস্তু সম্পত্তির দাম হুহু করে বাড়ছে ইচ্ছা থাকলেও কপালে মনের মত ছাদ জুটছে না অনেকের। এবার সেই সব সমস্যার সমাধান করতে সমুদ্রের নীচে শহর তৈরি করতে উদ্যোগী হল জাপানের এক কন্সট্রাকশন কোম্পানি।
শিমিজু করপোরেশন নামের ওই কোম্পানি সমুদ্রের নীচে আধুনিকযুগের 'আটলানটিস'-এর টেমপ্লেট প্রকাশ করল। সমুদ্রের তলদেশে এ এক স্বয়ং সম্পূর্ণ শহর।
ওশেন স্পাইরাল প্রোজেক্টে বিশাল আকৃতির সর্পিল স্ট্রাকচার একটা আরেকটার সঙ্গে জুড়ে ওয়াটারটাইট ঘরগুলির সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করবে। এই সর্পিল স্ট্রাকচারগুলো মিথেন ত্যাগ করা মাইক্রো অরগানিজম থেকে শক্তি সংগ্রহ করবে।
সমুদ্র তলদেশ থেকে অনান্য যৌগও সংগ্রহ করা যাবে। সর্পিল আকৃতির স্ট্রাকচারগুলির দৈর্ঘ বরাবর তৈরি হবে যাতায়াতের পথ।
প্রায় ৫,০০০ মানুষ এই স্পাইরাল স্ট্রাকচারের উপরে একটা স্বচ্ছ বলের মধ্যে স্বচ্ছন্দে থাকতে পারবেন। সমুদ্র তলদেশ থেকে উপরে থাকার কারণে এই বলে সহজেই সূর্যের আলো এসে পৌছাবে। তবে খারাপ আবহাওয়ায় বড় ঢেউ মাঝে মাঝে এসে ধাক্কা দিতে পারে এই বলকে।
পুরো ব্যাপারটা কাল্পনিক মনে হলেও শিমিজি কর্তৃপক্ষের দাবি ২০৩০ সালের মধ্যেই এই রকম একটা শহর তৈরি করে ফেলবে তারা। এই সংস্থার দাবি মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে আস্ত একটা 'আটলানটিস'। খরচ পড়বে ১৬ বিলিয়ন পাউন্ড।