মুকুটতাতো পরেই আছে, তিনিই শুধু নেই...
২০১৪ সালে আর শোনা যাবে না অননুকরণীয় সেই কণ্ঠস্বরে আর নতুন কোনও গান। ভরসা শুধু পুরনো গানের রেকর্ডগুলো। জলসাঘরের দরজাতো বন্ধ সেই ২৪ অক্টোবর থেকে। যে দিন আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন কিংবদন্তী মান্না দে। তবুও তিনি আছেন। থাকবেন। যতদিন ভারতীয় সঙ্গীত নিঃশ্বাস ফেলবে সেই প্রতিটি নিঃশ্বাসে আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন মান্না দে। বারবার। তাই নতুন বছরে দিনগুলো হয়ত তাঁর শারীরিক উপস্থিতি পাবে না, কিন্তু না থেকেও তাঁর সৃষ্টির মধ্যে দিয়েই দিনগুলো এই মহীরুহের ছায়ার আরামে নিশ্চিন্ত থাকবে।
২০১৪ সালে আর শোনা যাবে না অননুকরণীয় সেই কণ্ঠস্বরে আর নতুন কোনও গান। ভরসা শুধু পুরনো গানের রেকর্ডগুলো। জলসাঘরের দরজাতো বন্ধ সেই ২৪ অক্টোবর থেকে। যে দিন আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন কিংবদন্তী মান্না দে। তবুও তিনি আছেন। থাকবেন। যতদিন ভারতীয় সঙ্গীত নিঃশ্বাস ফেলবে সেই প্রতিটি নিঃশ্বাসে আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন মান্না দে। বারবার। তাই নতুন বছরে দিনগুলো হয়ত তাঁর শারীরিক উপস্থিতি পাবে না, কিন্তু না থেকেও তাঁর সৃষ্টির মধ্যে দিয়েই দিনগুলো এই মহীরুহের ছায়ার আরামে নিশ্চিন্ত থাকবে।
আসল নাম ছিল প্রবোধ চন্দ্র দে। সঙ্গীতজগতের কাছে পরিচিত ছিলেন মান্না দে নামেই। বাংলা ছাড়াও অসমিয়া,মারাঠি,মালয়ালম,কন্নড়,গুজরাতি,পঞ্জাবি, ভোজপুরি ভাষায় গান গেয়েছেন মান্না দে।
বিভিন্ন ভাষায় প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো গানে কন্ঠ দিয়ে শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে নিয়েছেন কিংবদন্তি শিল্পী৷ বাংলা সিনেমায় তাঁর গাওয়া অসংখ্য গান আজও মুখে মুখে ফেরে। মুম্বই চলচ্চিত্র জগতেও ছিল তাঁর সমান জনপ্রিয়তা। পেয়েছেন পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। তবে সবথেকে বড় পুরস্কার, তাঁর অসংখ্য গুনমুগ্ধ ভক্ত, তাঁকে দিয়েছেন অকৃত্রিম ভালবাসা। আর তাই নিয়েই সঙ্গীতজগতের একচ্ছত্র সম্রাট বিদায় নিলেন। থেকে গেল একরাশ শূন্যতা। যা কোনদিনই পূরণ হওয়ার নয়।
বাবা - পূর্ণ চন্দ্র এবং মা - মহামায়া দে’র সন্তান মান্না দে ১ মে ১৯১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা কলকাতার স্কটিশচার্চ ও বিদ্যাসাগর কলেজে৷ কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দে- র কাছেই গানের হাতেখড়ি। এরপরই নজরে পড়ে যান শচীন দেববর্মনের৷ দিল্লিতে পা রাখেন ১৯৪২ সালে। ১৯৪৩ সালে তামান্না ছবিতে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন মান্না দে৷ বাকিটা ইতিহাস। ভারতীয় সঙ্গীতজগতে মান্না দে-র যুগ স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।