দিনে ৬০ জন খদ্দের; ১০ বছরে ৪০,০০০ বার ধর্ষিতা!
১০ বছরে ৪০,০০০ বার ধর্ষিতা! ৫৫ তম খদ্দের মুখে চেপে ধরেছিল বন্দুক। আকুতি জানিয়েছিলেন, ট্রিগারটা টেনে এই যন্ত্রণাময় জীবন থেকে মুক্তি দিতে। কিন্তু, মুক্তি মেলেনি। নিজের জবানবন্দিতে এভাবেই যন্ত্রণাময় দিনগুলোর কথা জানালেন মেক্সিকোর এক যৌনকর্মী।
ওয়েব ডেস্ক : ১০ বছরে ৪০,০০০ বার ধর্ষিতা! ৫৫ তম খদ্দের মুখে চেপে ধরেছিল বন্দুক। আকুতি জানিয়েছিলেন, ট্রিগারটা টেনে এই যন্ত্রণাময় জীবন থেকে মুক্তি দিতে। কিন্তু, মুক্তি মেলেনি। নিজের জবানবন্দিতে এভাবেই যন্ত্রণাময় দিনগুলোর কথা জানালেন মেক্সিকোর এক যৌনকর্মী।
সবে তখন আঠারো পেরিয়ে উনিশে পা দিয়েছেন। এমন সময়ই প্রেমে পড়লেন ‘প্রিন্স চার্মিং’-এর। সর্বনাশের সেই শুরু। যাকে বিশ্বাস করে নিজের সবটুকু ভালোবাসা উজাড় করেছিলেন তিনি, হাত ধরে সেই তাঁকে নামায় বেশ্যাবৃত্তিতে। সেই থেকে শুরু। তারপর কেটে গেছে যন্ত্রণাদগ্ধ দশটা বছর। কিন্তু বদল হয়নি রোজনামচার। এক খদ্দের যায়। আরেক খদ্দের আসে। বিছানায় নেতিয়ে পড়া তাঁর ক্লান্ত শরীরে খদ্দেররা ‘চরিতার্থ’ করে তাদের কাম, বাসনা, লালসা।
কথায় কথায় জানালেন, দিনে ৬০ জন খদ্দেরকেও সামলেছেন। দৈনিক আয় হয়েছে ১২ লাখ টাকা। আর সেই আয়ে ফুর্তি করেছে তাঁর বয়ফ্রেন্ড। বেশ্যাবৃত্তিতে রাজি না হলে জুটেছে মারও।
তবে এসবের মাঝেও মাতৃত্বের ছোঁয়া পেয়েছে যন্ত্রণাময় জীবন। এখন তাঁর একটাই চিন্তা। একমাত্র ছেলে বড় হচ্ছে এই যৌনপল্লিতে। কোনওভাবেই তিনি চান না ছেলেও বাবার মতো হোক। কিন্তু নিয়তিই জানে ভবিষ্যত্ কী! দীর্ঘশ্বাস ঝরে পড়ে অসহায় মায়ের গলায়।