আজ মোদী-শরিফের 'মন কি বাত', আলোচনা হতে পারে সন্ত্রাসবাদ দমন ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে

আজ ফের আলোচনার টেবিলে মোদী-শরিফ। বৈঠকে গুরুত্ব পাবে সন্ত্রাসবাদ ইস্যু। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ভারত-পাক, দুই শিবিরের। তার আগে পুতিনের ভোজসভায় কথা মোদী ও শরিফের।

Updated By: Jul 10, 2015, 09:17 AM IST
আজ মোদী-শরিফের 'মন কি বাত', আলোচনা হতে পারে সন্ত্রাসবাদ দমন ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে
File Pic

ওয়েব ডেস্ক: আজ ফের আলোচনার টেবিলে মোদী-শরিফ। বৈঠকে গুরুত্ব পাবে সন্ত্রাসবাদ ইস্যু। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ভারত-পাক, দুই শিবিরের। তার আগে পুতিনের ভোজসভায় কথা মোদী ও শরিফের।

এক বছর পর আবার আলোচনার টেবিলে দুই প্রধানমন্ত্রী। আজ রাশিয়ায় নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসবাদ দমন ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, দিল্লি-ইসলামাবাদ কোনও পক্ষই বৈঠক নিয়ে আগাম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে না। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতে পুতিনের দেওয়া ভোজ সভায় নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা হয় নরেন্দ্র মোদীর। তখনই দুজনের বেশকিছুক্ষণ কথাও হয়।

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনের ফাঁকে মুখোমুখি হবেন তাঁরা।

কূটনৈতিক মহলের মতে পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য বুঝিয়ে দিচ্ছে, বৈঠক থেকে বড় কিছু আশা না করাই ভালো। কিন্তু, গত এক বছরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বারবার ধাক্কা খাওয়ার পর দুই প্রধানমন্ত্রী যে আলোচনার টেবিলে বসছেন, এই বা কম কী? বৃহস্পতিবারও বারামুলায় পাক বাহিনীর গুলিতে এক বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ আবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েনি দিল্লিও।

মোদী-শরিফ বৈঠকের আগে অতিরিক্ত কড়া বার্তা দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে না দিল্লি। কিন্তু, সন্ত্রাসবাদের মতো
বিষয়ে বরাবরের মতোই বজায় থাকছে দৃঢ় অবস্থান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বক্তব্যেই তা পরিষ্কার। ইসলামাবাদ হুরিয়ত নেতাদের
মদত দেওয়ায় গত নভেম্বরে কাঠমাণ্ডুতে সার্ক সম্মেলনে মোদী-শরিফের দেখা হলেও আলাদা বৈঠক হয়নি। মায়ানমারে ভারতের সেনা অভিযান এবং ঢাকা সফরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে মোদীর মন্তব্যে দু-দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। নওয়াজকে ফোনে মোদীর রমজানের শুভেচ্ছার পর আবার আলোচনার টেবিলে বসছেন দুই নেতা। তাতে হাতে গরম ফল মিলুক, না মিলুক, আলোচনার পথ প্রশস্ত হলে সেটাই হবে দুদেশের কূটনৈতিক সাফল্য।

.