আতঙ্ক কাটেনি! লকডাউন উঠতেই বিয়ের ধুম পড়েছে করোনার উত্পত্তিস্থলে
৮ এপ্রিল লকডাউন উঠেছে উহানে। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শহরের বাসিন্দাদের আগামী বেশ কিছুদিন কিছু নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন— আতঙ্ক এখনও কাটেনি পুরোপুরি। তাতে কী! লকডাউন তো উঠেছে। ধীরে ধীরে সুস্থ—স্বাভাবিক জীবনের পথে ফিরছেন চিনের উহানের বাসিন্দারা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, চিনের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন করে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর সব থেকে চিন্তার বিষয়, তাঁদের শরীরে করোনার কোনওরকম উপসর্গ নেই। যার ফলে এত সংখ্যক মানুষ যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার হদিশ পাচ্ছে না প্রশাসন। ফলে নতুন করে যেন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে চিনে। তবে এসবের মাঝেই কিছু মানুষ জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজটা সেরে রাখতে চাইছেন। সাত সপ্তাহ লকডাউন উঠতেই চিনের উহানে বিয়ের ধুম পড়েছে।
৮ এপ্রিল লকডাউন উঠেছে উহানে। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শহরের বাসিন্দাদের আগামী বেশ কিছুদিন কিছু নির্দেশ মেনে চলতে হবে। তবে উহানবাসী এখন স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়ে দারুন খুশি। তবে চিনের অন্য বেশ কয়েকটি প্রদেশে সবরকম বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এতদিন লকডাউনে থাকার পর চিনের মানুষ যেন মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন। বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে উহানে। কিন্তু এমন বিপর্যয়ের পরও যে সব জুটির সম্পর্ক অটুট রয়েছে তারা এবার বিয়েটা সেরে রাখতে চাইছেন।
লকডাউন ওঠার পরই যেমন বিয়ে করেছেন জু লিন নামের এক যুবক। তিনি মনে করেন, তাঁর এবং উহানের নতুন করে জন্ম হল। তাই বিয়ে করেই নতুন জীবনের উদযাপন করবেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। উহানের সরকারি কর্তৃপক্ষ বিয়ের নিবন্ধন পুনরায় চালু করেছিলেন বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। তবে লকডাউন চলায় বিয়ে করতে পারছিলেন না অনেকে। উহানে একাধিক সরকারি অ্যাপ পরিচালনা করে টেক জায়ান্ট আলিবাবার সহযোগী প্রতিষ্ঠান আলি পে। তারাই জানিয়েছে, বিবাহ নিবন্ধনের গতি বেড়েছে ৩০০ গুণ। ডিসেম্বর মাস থেকে উহানে করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তার পর ২৩ জানুয়ারি থেকে সেখানে লকডাউন জারি করা হয়। এক কোটিরও বেশি সংখ্যক মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েন।