বাঙালির বিশ্বাসকে জিতিয়ে 'বুনিপ' মারল মার্কিন মুলুকের শঙ্কর
ভূত, ইয়েতি, বুনিপ। স্থলে, পাহাড়ে, জঙ্গলে। এই তিনি মূর্তিমান দানবের অস্তিত্ব নিয়ে কম গবেষণা হয় না। মাঝে মাঝেই শোনা যাচ্ছে কোনও এক পর্বতারোহি এভারেস্টে ওঠার সময় নাকি ইয়েতি দেখেছেন। আবার কখনও শোনা যায় আমাজনের গভীর জঙ্গলের মাঝে কোনও এক কাঠুরিয়া নাকি বুনিপ দেখে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছেন। কিন্তু বিজ্ঞান, যুক্তিবাদীরা সব খারিজ করে বলে, মনের ভুল আসলে বুনিপ, ইয়েতি এগুলো মানুষের মনের বুল (সোজা ভাষায় যাকে বলে কেমিক্যাল লোচা)।
ভূত, ইয়েতি, বুনিপ। স্থলে, পাহাড়ে, জঙ্গলে। এই তিনি মূর্তিমান দানবের অস্তিত্ব নিয়ে কম গবেষণা হয় না। মাঝে মাঝেই শোনা যায় কোনও এক পর্বতারোহি এভারেস্টে ওঠার সময় নাকি ইয়েতি দেখেছেন।
আবার কখনও শোনা যায় আমাজনের গভীর জঙ্গলের মাঝে কোনও এক কাঠুরিয়া নাকি বুনিপ দেখে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছেন। কিন্তু বিজ্ঞান, যুক্তিবাদীরা সব খারিজ করে বলে, মনের ভুল আসলে বুনিপ, ইয়েতি এগুলো মানুষের মনের ভুল (সোজা ভাষায় যাকে বলে কেমিক্যাল লোচা)। “মিথ” বা উপকথা হিসাবেই থেকে গিয়েছে বুনিপ বা 'বিগ ফুট'।
তবু যুক্তিকে হারিয়ে বিশ্বাস ডানা মেলে। বুনিপ, ইয়েতিরা ফিরে ফিরে আসে মানুষের কথায়, গল্পে। কেউ কেউ প্রমাণও জোগাড় করার চেষ্টা করেন। কিন্তু যুক্তির কাছে সেসব প্রমাণ খড়কুটোর মত উড়ে যায়।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের `চাঁদের পাহাড়`-এ বুনিপ পড়ে মানুষ হওয়া বাঙালির কাছে কল্পনার ফোটোশপেই সেভ হয়ে থাকে। কিন্তু এবার মনে হয় কল্পনার বুনিপকে বাঙালি বিশ্বাস করবে (প্লিজ, কমলেশ্বর বাবুর দেব শঙ্কর সিনেয় বুনিপ মারার দৃশ্যটাকে উদাহরণ হিসাবে আনার ধৃষ্টতা দেখাতে পারা গেল না।)
রিক ডায়ার নামের টেক্সাসের এক দামাল যুবক সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন। বুনিপকে মেরে দেখিয়েছেন রিক। প্রথমে অনেকে বিশ্বাসই করছিলেন না বুনিপ মারার কথা। এর আগে তো এমন দাবি কম শোনেনি বিশ্ব। প্রথমে শোনা যায় বুনিপ দেখেছি, তারপর শোনা যায় বুনিপ মেরেছি।
পরে বাস্তবে দেখা যায় বুনিপ না ছাই, ওটা বড় জোর কোনও একটা বন্যপ্রাণী। কিন্তু এবার রিক একেবারে হাতে গরমপ্রমাণ এনেছেন। বুনিপকে মারার পর তার দেহাংশ জনসাধরণের জন্য প্রদর্শনীতে দিয়েছেন। এবার সেই প্রমাণ নিয়ে গোটা বিশ্ব ঘুরবেন।
৮ ফুট লম্বা, ৮০০ পাউন্ডের বুনিপটা রিক মেরেছিলেন ক বছর আগে স্যান অ্যানটোনিওতে। বিশেষভাবে সেই বুনিপের দেহ সে সংরক্ষণ করে রেখেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে রিক বুনিপ খুঁজে বেরাত। ওটাই ওর পেশা। পেশার পোশাকি নাম বিগ ফুট হান্টার।)
স্যান্টিয়াগোর জঙ্গলে প্রথমে তার নজরে পড়ে বুনিপকে। তাকে তাকে অপেক্ষা করে সে বিশেষ কায়দায় (সেটা জানায়নি রিক) সে বুনিপ বধ করে।
কে জানে রিক আবার বাঙলায় এসে পড়বে না তো! এসে পড়লে নিশ্চিত শুনবে আমরা তো বুনিপ মারার দৃশ্য আগেই দেখে ফেলেছি সিনেমায়।
রিকের মারা বুনিপ আসলে কী-- বাঙালি যাকে বুনিপ বলে তার পোশাকি নাম বিগ ফুট । কেউ বলে বিগ ফুট বিশালদেহী বনমানুষ প্রজাতির কিছু আবার কেউ বলে বিগ ফুট গুহা মানব। অনেকে বলে বিগ ফুট বরফের দেশে থাকে যে খানে প্রায় সারা বছরই বরফ পরে আর এ কারনেই অনেকে একে তুষার মানবও বলে। তবে বরফ ছারাও অন্যান্য জায়গাতেও বিগ ফুটের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত
এই পায়ের ছাপ বিগ ফুটের অস্তিত্তের প্রমান হিসাবে পাওয়া গেলেও বিগ ফুট থেকে গেছে ক্যামেরার অন্তরালে।