খনিতে নয়, বর্জকে কাজে লাগিয়ে সোনা তৈরী হচ্ছে রসায়নগারে

সোনা। হলুদ রং-এর এই ধাতু নিয়ে পৃথিবীর বুকে ঘটে গেছে কতই না কাণ্ড। সোনালি রং-এর মোহে ধ্বংস হয়েছে রাজ পরিবার থেকে শুরু করে কত দেশ। সোনার খনির দখল নিতে যুদ্ধে জড়িয়েছে শক্তিধরেরা। প্রাণ হারিয়েছেন কত না মানুষ। নারীর সৌন্দর্য্য বাড়াতে সোনার চাহিদা সেই পৃথিবীর আদিকাল থেকেই।  মাটি খুঁড়ে তুলে আনা সেই সোনা এবার তৈরি হতে চলেছে রসায়নগারে।

Updated By: Feb 1, 2016, 02:18 PM IST
খনিতে নয়, বর্জকে কাজে লাগিয়ে সোনা তৈরী হচ্ছে রসায়নগারে

ওয়েব ডেস্ক: সোনা। হলুদ রং-এর এই ধাতু নিয়ে পৃথিবীর বুকে ঘটে গেছে কতই না কাণ্ড। সোনালি রং-এর মোহে ধ্বংস হয়েছে রাজ পরিবার থেকে শুরু করে কত দেশ। সোনার খনির দখল নিতে যুদ্ধে জড়িয়েছে শক্তিধরেরা। প্রাণ হারিয়েছেন কত না মানুষ। নারীর সৌন্দর্য্য বাড়াতে সোনার চাহিদা সেই পৃথিবীর আদিকাল থেকেই।  মাটি খুঁড়ে তুলে আনা সেই সোনা এবার তৈরি হতে চলেছে রসায়নগারে।

বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করছেন রসায়নগারে সোনা তৈরীর পদ্ধতি।সম্পূর্ন পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে সোনা তৈরীর কাঁচামাল বৈদ্যুতিন বর্জ পদার্থ। খুব কম সময়ে কম খরচে এই সোনা তৈরী করা যাবে। আর সোনা তৈরীর এই পদ্তি মান্যতা পেলে সারা বিশ্বের অর্থনীতির চেহেরায় আসবে আমূল পরিবর্তন। বর্তমানে সারা বিশ্বে এক বছরে ৫০মিলিয়ন টনেরও বেশি বৈদ্যুতিনবর্জ পদার্থ হয় যার ৮০ শতাংশ আর কোনও কাজে লাগে না। সেই বর্জকে কাজে লাগিয়ে সোনা তৈরীর পদ্দতি বের করেছেল কানাডার সাসকাটচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর স্টিফেন ফলি। প্রফেসর ফলি বাতিল কম্পিউটর চিপস ও সার্কিটকে এক বিশেষ তাপমাত্রা ও পরিবেশে অ্যাকোয়া রেগিয়া নামক নাইট্রিক অ্যাসিড ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের  দ্রবনে বিশেষ পদ্ধতিতে মিশিয়ে সোনা তৈরী করেছেন। এক কিলোগ্রাম সোনা তৈরীতে ১০০ লিটার  অ্যাকোয়া রেগিয়ার দ্রবন লাগে বলে জানিয়েচেন তিনি। আর এই দ্রবনটি ব্যবহার করা যাবে বহুবার। গোটা পদ্ধতি শেষ  করতে সময় লাগছে মাত্র ১০ সেকেন্ড। আর খরচ? মাত্র ৫০ সেন্ট। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও প্রফেসরের এমনটাই দাবি। শুধু গোপন রেখেছেন রেখেছেন দ্রবনে ব্যবহার করা কাঁচামালের পরিমান তার গুনাবলি ও দ্রবনের মিশ্রনগুলির পরিমাপ। স্টিফেন ফলির এই দাবি মান্যতা পেলে তা পৃথিবীর অন্যতম যুগান্তকারী আবিষ্কার হবে। তবে পৃথিবীর আদি যুগ থেকে চলে আসা সোনার রোমান্টিসিজম হারিয়ে যাবে চিরতরে।  

.