মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ল্যাটিনো ভোট
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারযুদ্ধের পারদ যত চড়ছে, ততই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন ল্যাটিনো ভোটাররা। মার্কিন জনসংখ্যার একটা বড় অংশ এই ল্যাটিনো সম্প্রদায়ের সমর্থন যেকোনও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে প্রচারের শেষ বেলায় এই সম্প্রদায়ের মানুষের মত পেতে মরিয়া বারাক ওবামা এবং মিট রমনি, দুজনেই। কিন্তু ল্যাটিনোরা কি বলছেন? এই সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের সমর্থন বারাক ওবামার দিকে থাকলেও, সম্প্রতি ওবামার বেশ কিছু নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারযুদ্ধের পারদ যত চড়ছে, ততই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন ল্যাটিনো ভোটাররা। মার্কিন জনসংখ্যার একটা বড় অংশ এই ল্যাটিনো সম্প্রদায়ের সমর্থন যেকোনও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে প্রচারের শেষ বেলায় এই সম্প্রদায়ের মানুষের মত পেতে মরিয়া বারাক ওবামা এবং মিট রমনি, দুজনেই। কিন্তু ল্যাটিনোরা কি বলছেন? এই সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের সমর্থন বারাক ওবামার দিকে থাকলেও, সম্প্রতি ওবামার বেশ কিছু নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
মার্কিন রাজনীতিতে ল্যাটিনো ভোটব্যাঙ্কের ভুমিকা বরাবরই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনুমান, ২০৫০-এর মধ্যে আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশই হবেন ল্যাটিনোরা। ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যে ল্যাটিনোদের আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হবে সেটাই স্বাভাবিক। জাতীয় কনভেনসনে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট, দুই শিবিরই তাই জনপ্রিয় ল্যাটিনো নেতাদের মঞ্চে হাজির করেছিল। প্রচারযুদ্ধের এই টানটান উত্তেজনার মাঝেই রাজনীতির আলোচনায় সরগরম হয়ে উঠছে আমেরিকার বিভিন্ন ল্যাটিনো পরিবারের অন্দরমহলও। ভোটের ময়দানে নিজেদের গুরুত্ব সম্পর্কে তারা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।
গত কয়েক বছর ধরে সাধারণত বারাক ওবামাদের দিকেই ল্যাটিনোদের সমর্থনের পাল্লা ভারি ছিল। মানসিকতায় বড় ধরনের পরিবর্তন না হলেও, সম্প্রতি ওবামার বেশ কিছু নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। ওবামার আমলে মার্কিন অভিবাসন নীতি, বা দেশের চলতি আর্থিক সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
জনৈক ল্যাটিনো ভোটারের মতে, "ওবামার আমলে এখান থেকে ল্যাটিনোদের দেশে ফেরত পাঠানোর সংখ্যা বেড়েছে। এটা দুঃখজনক। কারণ ওবামা মার্কিন অভিবাসন নীতিতে আমূল পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছিলেন।"
নির্বাচনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাই এই সম্প্রদায়ের মত পেতে কোনও কসুর করছেন না প্রার্থীরাও। ওবামা এবং রমনি, দুই শিবিরই ল্যাটিনোদের মত পেতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছেন। টেলিভিশন, রেডিও সহ সব প্রচারমাধ্যমে স্প্যানিশ ভাষার বিজ্ঞাপন ছেয়ে গেছে।
কিন্তু সমস্যাও আছে। এবছর নির্বাচনে ল্যাটিনো ভাটরের সংখ্যা দু কোটি ২০ লক্ষ। কিন্তু বরাবরই এই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভোট না দেওয়ার একটা প্রবণতা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত এবছরও তার অন্যথা হবে না। যদিও বিভিন্ন ল্যাটিনো সংগঠন ইতিমধ্যে ভোট দেওয়ার গুরুত্ব নিয়ে জোরদার প্রচার শুরু করেছেন। ল্যাটিনোদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বেড়েছে। ফলে এটা স্পষ্ট, হোয়াইট হাউসের দৌড়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে ফারাক গড়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিতে পারে এই ল্যাটিনো সম্প্রদায়।