সন্ত্রাসবাদের ইস্যুতে দিল্লির পাশে নেই বেজিং, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে ভেটো দিল চিন
ব্যুরো: আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কে পাকিস্তান-চিন সম্পর্ক নিয়ে নানান জল্পনা থাকলেও চিন যে পাকিস্তানের পাশেই আছে তা এবার সরাসরি প্রকাশ পেল। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতায় ভারতের বিপক্ষেও যেতে পারে চিন, এমনটাই বার্তা উঠে এল রাষ্ট্রসংঘে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য চিন ভেটো দেওয়ায় প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে চিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে।
ব্যুরো: আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কে পাকিস্তান-চিন সম্পর্ক নিয়ে নানান জল্পনা থাকলেও চিন যে পাকিস্তানের পাশেই আছে তা এবার সরাসরি প্রকাশ পেল। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতায় ভারতের বিপক্ষেও যেতে পারে চিন, এমনটাই বার্তা উঠে এল রাষ্ট্রসংঘে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য চিন ভেটো দেওয়ায় প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে চিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে।
রাষ্ট্রসংঘে স্থায়ী ৫ সদস্যরাই কেবল ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতার অধিকারি। সংঘের কোনও প্রস্তাবে অসম্মতি থাকলে এই ভেটো প্রয়োগ করে তা খারিজ করে দেওয়া যায়। ভারত এবং পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য নন। যার ফলে নিজেদের পক্ষে কোনও প্রস্তাব পেশ করলেও স্থায়ী সদস্যরা তাতে অসম্মত থাকলে ভেটো প্রয়োগ করেন। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
চলতি বছরেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড জাকিউর রহমান লকভি। ভারতের আপত্তি কার্যত কাজেই আসেনি। এনিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে নয়াদিল্লির চাপানউতোরও কম হয়নি। কূটনৈতিক তরজাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে যেতে চেয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু বাধ সেধেছে চিন। পাকিস্তানের কাছে জবাবদিহি চাইতে রাষ্ট্রসংঘে দরবার করেছিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের স্যাংশন কমিটির চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেছিল নয়াদল্লি। স্যাংশন কমিটিতে প্রস্তাবটি ওঠার আগেই ভেটো দিয়েছে চিন। পাকিস্তানের সুরে চিনও বলেছে লকভির বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণই দেয়নি ভারত। লকভি মুক্তি পাওয়ায় বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে কেন এমন মনোভাব চিনের?
মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে এশিয়ার অন্যতম বড় শক্তি চিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে জোর দিয়েছেন। নয়াদিল্লি-বেইজিং সখ্য নতুন খাতে বইতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়েছিল মোদীর চিন সফরে। সন্ত্রাসবাদের মতো বড় ইস্যুতে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়াল না চিন। এমন নানা কাঁটা সরিয়ে ভারত-চিন সম্পর্ক কতটা নতুন খাতে বইবে। উঠছে প্রশ্ন। মোদী-জিনপিং সখ্যে কি তাহলে ভাটা পড়ল? আন্তর্জাতিক মঞ্চে নয়াদিল্লির প্রস্তাবের সরাসরি বিরোধিতাই উস্কে দিচ্ছে এই প্রশ্ন।