জাপানে ২৬ বছরেরে ঘাতকের ছুরিতে খুন ১৯, জখম ৪৫
জাপানে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। টোকিওর কাছে সাগামিহারা শহরে মানসিক প্রতিবন্ধীদের হাসপাতালে এক ঘাতকের ছুরিতে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত ৪৫। আহতদের মধ্যে ২০জন আশঙ্কাজনক। দমকল বিভাগের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ৯জন পুরুষ এবং ১০জন মহিলা। তাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৭০-এর মধ্যে।
ব্যুরো: জাপানে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। টোকিওর কাছে সাগামিহারা শহরে মানসিক প্রতিবন্ধীদের হাসপাতালে এক ঘাতকের ছুরিতে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত ৪৫। আহতদের মধ্যে ২০জন আশঙ্কাজনক। দমকল বিভাগের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ৯জন পুরুষ এবং ১০জন মহিলা। তাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৭০-এর মধ্যে।
টোকিও থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে, সাগামিহারা শহরের সুকুই ইয়ামাইয়ুরি প্রতিবন্ধী হাসপাতাল। সোমবার স্থানীয় সময় রাত দুটোর পর কার্যত মৃত্যুপুরী হয়ে ওঠে এই হাসপাতাল। এক ঘাতকের পর পর ছুরির আঘাতে মৃত্যু হয় বহু রোগীর। আহত হন অনেকে।
ঠিক কী হয়েছিল রাতের হাসপাতালে? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গভীর রাতে হাসপাতালের কাঁচ ভেঙে ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল এক ব্যক্তি। অন্ধকারে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই, শুরু হয় তাণ্ডব। একের পর এক রোগীকে ধারাল ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে আততায়ী। রক্তে ভেসে যায় ওয়ার্ডের ফ্লোর। বাধা দিতে গিয়ে জখম হন চিকিত্সক সহ আরও অনেকে। ঠিক কতক্ষণ ধরে সে হত্যালীলা চালিয়েছিল, তা অবশ্য পুলিস কিম্বা কানাগাওয়া প্রদেশের কর্তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। রাত আড়াইটে নাগাদ স্থানীয় থানায় কেউ একজন ফোন করে ঘটনার খবর জানান। তারপরই পুলিস পৌছলে, আততায়ী আত্মসমর্পণ করে। জানা গেছে হামলাকারী সাতোশি উয়েমাতসুর বয়স ২৬। সে ওই মানসিক হাসপাতালেরই প্রাক্তন কর্মী। তাকে জেরা করে হামলার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিস। তবে ঘটনায় আইসিস যোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সরকারি মুখপাত্র।
ইয়োশিডে সুগা, প্রধান ক্যাবিনেট সচিব জানিয়েছেন, "আমরা পুলিসের থেকে যেসব তথ্য পেয়েছি তাতে আমাদের প্রাথমিক অনুমান, হামলার সঙ্গে আইসিসের কোনও যোগ নেই। তবুও আমরা সবদিক খতিয়ে দেখছি এবং পুলিসকে সতর্ক থাকতে বলেছি সতর্ক থাকতে যাতে আগামী দিনে আর এধরনের ঘটনা না ঘটে"।
উন্নতদেশগুলির মধ্যে জাপানে অপরাধের সংখ্যা সবচেয়ে কম। সেখানে ছুরি নিয়ে এধরনের হামলার ঘটনা প্রায় বিরল।তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত লোক একসঙ্গে খুন হয়নি সূর্যদয়ের দেশে।