কাজের একঘেঁয়েমি কাটাতে ১০০ জন রোগীকে ‘খুন’ করল নার্স
প্রথমে রোগীর হৃদযন্ত্র বিকল করার জন্য শরীরে বিষ প্রয়োগ করত। এরপর রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাঁকে বাঁচানোর ‘আপ্রাণ প্রয়াস’ করা হত। তাতে যদি রোগী সুস্থ হয়ে যেত, সাফল্যের পুরো ‘ক্রেডিট’টাই নিত নার্স। আর সুস্থ না হলে বা রোগীটি মারা গেলে কান্নায় ভেঙে পড়ত চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা নার্স। এইভাবেই ১০৬ জন রোগীকে খুন করার অভিযোগ উঠল জার্মানির এক নার্সের বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথমে রোগীর হৃদযন্ত্র বিকল করার জন্য শরীরে বিষ প্রয়োগ করত। এরপর রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাঁকে বাঁচানোর ‘আপ্রাণ প্রয়াস’ করা হত। তাতে যদি রোগী সুস্থ হয়ে যেত, সাফল্যের পুরো ‘ক্রেডিট’টাই নিত নার্স। আর সুস্থ না হলে বা রোগীটি মারা গেলে কান্নায় ভেঙে পড়ত চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা নার্স। এইভাবেই ১০৬ জন রোগীকে খুন করার অভিযোগ উঠল জার্মানির এক নার্সের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: 'ধর্মের জিগির' তুলে বাংলাদেশের রংপুরে হিন্দুদের উপর হামলা, ভষ্মীভূত ঘরবাড়ি
১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে জার্মানির ডেলমেনহর্স্ট হাসপাতাল-সহ দুটি হাসপাতালে কাজ করেছে নিয়েলস হেজেল নামের ওই নার্স। ২০০৫ সালে এক রোগীর শরীরে বিষ ওষুধ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করার সময়েই অন্য এক নার্সের হাতে ধরা পড়ে যায় নিয়েলস। তখনই ফাঁস হয়ে যায় তার সব কীর্তি। ওই রোগী বেঁচে যায়, নিয়েলেসকে পাঠানো হয় জেলে।
আর তারপরই তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। জানা যায়, এই কয়েক বছরে একই পদ্ধতিতে নিয়েলেস প্রায় ৯০ রোগীকে খুন করেছে। নিয়েলসের দ্বারা শরীরে বিষ ঢোকায় এরপরও আরও ১৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়।
কিন্তু কেন নিয়েলেস এমন কাজ করত?
নিয়েলেস জানিয়েছে, কাজের একঘেঁয়েমি কাটাতেই নাকি সে একাজ করে এসেছে। আপাতত জেলে ঠাঁই হয়েছে নিয়েলেস। গোটা ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে হতভম্ভ হয়ে গিয়েছেন পোড় খাওয়া তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: সোমবার আকাশে 'মিলে যাবে' বৃহস্পতি ও শুক্র