Kali Puja 2024: ঢাকেশ্বরী-রমনা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দিরে হচ্ছে কালীপুজো, মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল
Kali Puja 2024: বাংলাদেশের হিন্দুদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পুজো। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পুজো বা কালী পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে
সেলিম রেজা ও আব্দুস সালাম রুবেল | ঢাকা: শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশ অত্যাচারের মুখে পড়েন সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। পরিস্থিতি বিচার করে এবার দুর্গা পুজোয় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল বাংলাদেশ সরকার। এবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই হচ্ছে কালী পুজো।
আরও পড়ুন- কালীপুজোতেও বৃষ্টি! আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া
বৃহস্পতিবার ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, ঢাকার পোস্তগোলা মহাশ্মশান, তাঁতী বাজার, শাখারী বাজার, বাংলাবাজার-সহ বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরে শ্যামা পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের হিন্দুদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পুজো। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পুজো বা কালী পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দু পুরাণ মতে, কালী দূর্গারই একটি রূপ। সংস্কৃত ভাষার 'কাল' শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পুজো হল শক্তির পুজো। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়া-সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কালী পুজোর দিন বাংলাদেশের হিন্দুরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও বাড়িতে বা মণ্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজো করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পুজো করা হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালী পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
দীপাবলি বা দিওয়ালি উৎসব নিয়ে হিন্দু পুরাণ কাহিনী ও ইতিহাস থেকে হরেক রকম তথ্য পাওয়া যায়। পুরাণ কাহিনি মতে, ক্ষীর সাগর মন্থনের পর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে অমৃতভাণ্ড হাতে সমুদ্র থেকে ধন্বন্তরি উঠে এসেছিলেন। তাই তিথির নাম ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী (ধনতেরাস)। ওই দিন একই সঙ্গে দেবী লক্ষ্মীও সমুদ্র থেকে উঠে আসেন। তারপর অমৃতের ভাগ নিয়ে দেবাসুরের লড়াইয়ের পরে লক্ষ্মীদেবী পুনরায় স্বর্গে ফিরে যান এই কার্তিকি অমাবস্যার রাতেই। সেই ঘটনার স্মরণেই অমাবস্যার রাত সাজানো হয় প্রদীপ জ্বালিয়ে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)