বান্ধবী বিচ্ছেদে নাওয়া খাওয়া ভুলে আফ্রিকার শেষ মেরু ভালুক
তিরিশ বছরের পুরনো বান্ধবী জিবি মারা যাওয়ার পর থেকেই মনমরা ওয়াং। রুচি নেই খাবার বা খেলনায়। ওয়াং আফ্রিকা মহাদেশে শেষ মেরু ভালুক। ঠিকানা জোহানেসবার্গ জু।
তিরিশ বছরের পুরনো বান্ধবী জিবি মারা যাওয়ার পর থেকেই মনমরা ওয়াং। রুচি নেই খাবার বা খেলনায়। ওয়াং আফ্রিকা মহাদেশে শেষ মেরু ভালুক। ঠিকানা জোহানেসবার্গ জু।
বান্ধবীর মৃত্যুতে একেবারে ভেঙে পড়েছে ওয়াং। হাজার হোক, প্রায় তিরিশ বছরের পুরনো বান্ধবী বলে কথা। ওয়াং আফ্রিকা মহাদেশে শেষ তুষার ভালুক। ঠিকানা দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ জু। গত জানুয়ারি মাসের তেরো তারিখে মারা গিয়েছে ওয়াংয়ের বান্ধবী জিবি। তারপর থেকে গোটা আফ্রিকা মহাদেশে ওয়াং একলা।
সেই ১৯২৫ সালে জাপানের এক চিড়িয়াখানা থেকে জোহানেসবার্গ জু-তে এসেছিল ওয়াং। আর কানাডা থেকে এসেছিল জিবি। তখন ওদের বয়েস মাত্র একবছর। সেই থেকেই দুজনের একসঙ্গে বসবাস। জিবি মারা যাওয়ার পর প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা প্রিয় বান্ধবীর মৃতদেহ আঁকড়ে বসেছিল ওয়াং। কিছুই খায়নি। শেষমেশ তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে সরাতে হয় জিবির মৃতদেহ। তারপর থেকেই সারাদিন আনমনা থাকে ওয়াং। বিশেষ রুচি নেই খাবারে কিংবা প্রিয় খেলনায়। শরীরও খুব একটা ভাল নেই ওয়াংয়ের।
বার্ধক্য অনেকটাই কাবু করে ফেলেছে ওকে। দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়া তুষার ভালুকদের জন্য অনুকূল নয়। সেকারণেই আর কোনও মেরু ভালুককে চিড়িয়াখানায় আনবেন না বলে ঠিক করেছে কর্তৃপক্ষ।তাই বান্ধবী জিবির স্মৃতি আর বরফে ঢাকা সুদূর সুমেরুর স্বপ্ন বুকে নিয়েই জীবনের শেষ কটা দিন কাটাতে হবে নিঃসঙ্গ ওয়াংকে।