ধ্বংস নয়, উত্তর কোরিয়াকে চরম শিক্ষা দিতে প্রস্তুত আমেরিকা
ইটের জবাব পাটকেলে দেওয়া হবে। রবিবার, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমা পরীক্ষার জবাবে এমনই কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা। এ দিনই এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপকে নিন্দা করে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস বলেন, "উত্তর কোরিয়ার যে কোনও হুমকির মুখে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে সম্পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে।" তবে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের কথা না ভেবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে বিকল্প পথ খুঁজছে আমেরিকা।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে ম্যাটিস এ দিন জানান, কোরিয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের দাবিতে সহমত পোষণ করছে আন্তর্জাতিক মহল। পাশাপাশি কিম জং উনের জানা উচিত জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে দেওয়া আমেরিকার প্রতিশ্রুতিতে কোনও ভাবে নড়চড় হবে না।
আরও পড়ুন- ব্রিক্স-এ উন্নয়ন-শান্তির পক্ষে সওয়াল, পাক সন্ত্রাসের কথা এড়িয়ে গেলেন মোদী
উল্লেখ্য, গুয়ামে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হানার হুমকি দিতেই মার্কিন-উত্তর কোরিয়া সম্পর্কের উত্তাপ চরম সীমা স্পর্শ করে। কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই আবহেই জাপানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে 'চরম ঔদ্ধত্যে'র পরিচয় দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। আর তারপরই শিনজো আবের দেশ কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেয়, দেশবাসীর সুরক্ষার স্বার্থে আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এর জবাব দেবে তারা। তাছাড়া
এর আগে উত্তর কোরিয়ার বারংবার পারমাণু পরীক্ষার জেরে বিশ্ব জুড়ে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তার কড়া নিন্দা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিমের কোরিয়াকে নাগাড়ে মদত দেওয়ার জন্য জিনপিং-এর চিনকেও কড়া বার্তা শুনিয়েছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপও করেছে মার্কিন মুলুক।
আরও পড়ুন- ষষ্ঠ পরমাণু বোমা পরীক্ষায় ভূমিকম্প উত্তর কোরিয়ায়
প্রসঙ্গত, এ দিন কোরিয় উপদ্বীপে হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, নাগাসাকিতে যে বোমা ফেলা হয়েছিল তার থেকে ৫ গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল এই বোমা। তার জেরে এ দিন রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩ মাত্রা।