ভাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের দখল নিল পাক সরকার
সম্প্রতি পাকিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা কমিটির একটি জরুরি বৈঠক বসে। সেখানেই ঠিক হয় হাফিজ সইদের প্রতিষ্ঠান জামাত-উদ-দাওয়া ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত-কে নিষিদ্ধ করা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে জঙ্গি হানার পর চাপ বাড়ছে পাকিস্তানের ওপরে। হাফিজ সইদ ও মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক ইমরান সরকার, এমনটাই দাবি করছে বেশ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যেই জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর দখল নিল পুলিস। এমনটাই দাবি করছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন-করফাঁকি আটকাতে কড়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাক পঞ্জাব সরকার জইশ পরিচালিত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দখল নিয়েছে। পাকিস্তান ট্রিবিউনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক টুইট করে জানিয়েছে, পঞ্জাব সরকার ভাওয়ালপুরে মাদ্রাসাতুল সাবির ও জামা-ই-মসজিদের দখল নিয়েছে। এই দুই প্রতিষ্টানকেই জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান কার্যালয় বলে মনে করা হয়।
The Government of Punjab has taken over the control of a campus comprising Madressatul Sabir and Jama-e-Masjid Subhanallah in Bahawalpur: Spokesman of the Ministry of Interior
— Govt of Pakistan (@pid_gov) February 22, 2019
The Spokesman said that the action was taken in line with the decision of the National Security Committee meeting held yesterday under the Chairmanship of Prime Minister Imran Khan.
— Govt of Pakistan (@pid_gov) February 22, 2019
পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী জইশের ওই সদর দফতরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৬০০ পড়ুয়া রয়েছে। রয়েছেন ৭০ শিক্ষক।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ভাওয়ালপুরে অবস্থিত জামিয়া মসজিদ সুবান আল্লাহ মসজিদ থেকেই কাজকর্ম চালায় জইশ। ভাওয়ালপুরের সেনা সদর ওই মসজিদ থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে। এখন জইশের সদর দখল নেওয়া উদ্দেশ্য তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া নাকি তাকে রক্ষা করা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা কমিটির একটি জরুরি বৈঠক বসে। সেখানেই ঠিক হয় হাফিজ সইদের প্রতিষ্ঠান জামাত-উদ-দাওয়া ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত-কে নিষিদ্ধ করা হবে। এই দুই প্রতিষ্ঠানে আসা টাকাতেই চলে লস্কর-ই-তৈবা।