কার্বন মাত্রা মানতে নারাজ ভারত, চীন
কার্বন নির্গমণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত-আমেরিকা ও চিনের অনড় অবস্থানে রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে তৈরি হল অচলাবস্থা। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে আয়োজিত সম্মেলনের মূল আলোচ্য ছিল শনিবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রস্তাবিত চুক্তির খসড়া।
কার্বন নির্গমণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত-আমেরিকা ও চিনের অনড় অবস্থানে রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে তৈরি হল অচলাবস্থা। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে আয়োজিত সম্মেলনের মূল আলোচ্য ছিল শনিবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রস্তাবিত চুক্তির খসড়া। ওই খসড়ায় প্রতি দেশের ক্ষেত্রে কার্বন নির্গমণের মাত্রা বেঁধে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চুক্তিটি ২০১৫-র মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়ে ২০২০-তে কার্যকর হওয়ার কথা।
কিন্তু, খসড়ার শর্ত নিয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছে ভারত ও চিন। দুই দেশেরই দাবি, কার্বন নির্গমণের মাত্রা বেঁধে দিলে তাদের উন্নয়নের গতি বাধা পাবে। বরং আমেরিকার মতো উন্নত দেশ, যারা বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক কার্বন নির্গমণকারী, তারা এর দায় নিক। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভারতের সদিচ্ছার অভাব নিয়ে পালটা প্রচার শুরু করেছে পশ্চিমী বিশ্বের দেশগুলি। ভারতের তরফে শনিবার এর কড়া জবাব দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী জয়ন্তী নটরাজন বলেন, পশ্চিমী বিশ্বের আক্রমণে তিনি ব্যথিত। ১২২ কোটি মানুষের চাহিদা মেটাতে ভারতের আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। নটরাজন অভিযোগ করেন, কার্বন নির্গমণের ক্ষেত্রে সেই অতিরিক্ত ছাড়টুকু ভারতকে দিতে চায় না পশ্চিমী বিশ্ব। অথচ, চোদ্দ বছর আগের কিয়োটো প্রোটোকলে কার্বন নির্গমণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যে ঐকমত্য হয়েছিল তাকে কত অবলিলায় পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে শিল্পোন্নত পশ্চিমী দেশগুলি।