রাওয়ালপিন্ডির সেনা হাসপাতাল থেকে তড়িঘড়ি বাহাওয়ালপুরে সরানো হল জইশ প্রধানকে

বালাকোটে হামলার পরই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি জানিয়েছিলেন, ‘মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই রয়েছেন। তবে তিনি খুবই অসুস্থ। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।’

Updated By: Mar 4, 2019, 11:30 AM IST
রাওয়ালপিন্ডির সেনা হাসপাতাল থেকে তড়িঘড়ি বাহাওয়ালপুরে সরানো হল জইশ প্রধানকে

নিজস্ব প্রতিবেদন: বায়ুসেনার বিমান হানায় জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের মৃত্যু হয়েছে। এমন জল্পনার মধ্যে পাক সংবাদমাধ্যমের খবর, আদৌ মৃত্যু হয়নি জইশ প্রধানের। এর মধ্যেই রাওয়ালপিন্ডির সেনা হাসপাতাল থেকে বাহাওয়ালপুরে গোথ ঘানির জইশ ক্যাম্পে সরান হল জইশ প্রধানকে। এমনটাই খবর গোয়েন্দা সূত্রে।

আরও পড়ুন-সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার; দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টি, বেলা গড়ালে দুর্যোগ বাড়ার সম্ভাবনা

জইশ-ই-মুহাম্মদ ইতিমধ্যেই মাসুদ আজহারের মৃত্যুর খবর উড়িয়ে দিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডি থেকে তাকে সরানোর পর এবার ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দাগল জঙ্গি সংগঠন। জইশের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতের চাপের কাছে মাথা নত করেছে ইমরান খান সরকার।’ প্রসঙ্গত সংগঠনের পক্ষ থেকে দলের ক্যাডারদের অন্য জায়গায় লুকিয়ে পড়তে ও লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে বলা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইমরান খান এখন জেনারেল পারভেজ মুশারফের রাস্তা ধরেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে হামলার পর মুশারফ দেশের অধিকাংশ জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশ মতো এখন সেটাই করছেন ইমরান খান। সরকার প্রথমে ভারতীয় পাইলটকে ছেড়ে দিল। তারপর দেশের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপরে হামলা শুরু হয়েছে। কারণ এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি হল খুবই সহজ টার্গেট।’

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে হামলার পরই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি জানিয়েছিলেন, ‘মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই রয়েছেন। তবে তিনি খুবই অসুস্থ। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।’ কুরেশির ওই বিবৃতির পরই জানা গিয়েছিল, মাসুদ আজহার কিডনির অসুখে ভুগছে। তাকে রাওয়ালপিন্ডির সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের মৃত্যু হয়নি, দাবি পাক সংবাদমাধ্যমে

এদিক, মাসুদ আজহারকে নিয়ে চাপ বাড়ছে পাক সরকারের ওপরে। বিষয়টি নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে সেনা হাসপাতালে মাসুদের থাকার খবর প্রমাণ হয়ে গেলে আরও চাপে পড়তে হবে পাকিস্তান সরকারকে। তাই সাত তাড়াতাড়ি জইশ প্রধানকে বাহাওয়াল কোটে সরানো হল বলে মনে করা হচ্ছে।

.