৬ মাসে আগে অপহৃত ২০০ মেয়ের 'ঘরে ফেরার ডাকে' রাজপথে তাঁদের পরিবার
ছয় মাস আগে ১০ টি ট্রাকে করে প্রায় ৫০ জন জঙ্গী এসে গ্রামকে ঘিরে ফেলে। অকথ্য অত্যাচার চালায় গ্রামবাসীদের প্রতি। কেউ প্রতিবাদ করলে মাথছা কেটে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। কারও আবার হাত কেটে নেওয়া হয়। অমানবিক অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে গ্রামবাসীরা। কিন্তু তারপরেও প্রায় ২০০ জন মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় তারা।
ওয়েব ডেস্ক: ছয় মাস আগে ১০ টি ট্রাকে করে প্রায় ৫০ জন জঙ্গী এসে গ্রামকে ঘিরে ফেলে। অকথ্য অত্যাচার চালায় গ্রামবাসীদের প্রতি। কেউ প্রতিবাদ করলে মাথছা কেটে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। কারও আবার হাত কেটে নেওয়া হয়। অমানবিক অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে গ্রামবাসীরা। কিন্তু তারপরেও প্রায় ২০০ জন মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় তারা।
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের চিবক গ্রামে বোকো হারাম হামলা চালিয়েছিল ১৪ এপ্রিল রাতে। গ্রামের স্কুল, বাড়িতে হামলা চালায়। ঘুমন্ত অবস্থায় শিক্ষকদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সেখান থেকে প্রায় দুশো জন মেয়েকে অপহরণ করে বোকো হারাম জঙ্গিরা। তাদের দাবি নাইজেরিয়ার সংবিধানে ইসলামিক শারিয়া আইন স্থাপন করতে হবে। স্কুলে না যাওয়ার জন্য অপহরণ করে জঙ্গীরা।
এতবড় নক্কারজনক ঘটনা হওয়ার পর নাইজেরিয়া সরকার শুধুমাত্র সমবেদনা জানিয়েছে। তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি। আফ্রিকা মহাদেশের বেশ জনপ্রিয় ১৭০ মিলিয়ন লোকের দেশ। প্রায় ২০০টি জাতি বাস করে। অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে ধনী ও গরীবে বড় পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এতবড় ঘটনার পরও কেন সরকারীর উদাসীন রয়েছে? অপহৃত মেয়েরা কী অবস্থায় আছে, আদৌ বেঁচে আছে কিনা কোনও খবর জানা নেই তাঁদের পরিবারের।
অপহরণ হওয়ার পাঁচ দিন পরে মিলিটারির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৬০ জন মহিলাকে মুক্তি দিয়েছে জঙ্গীরা। কিন্তু স্কুল ও তাদের পরিবার অভিযোগ করে মিথ্যা মুক্তির আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা কেউ তাঁদের মেয়েকে এখনও পর্যন্ত পায়নি। এরপর ৫ মে বোকো হামার জঙ্গীরা অপহরণের ভিডিও টেপ প্রকাশ করে। নাইজেরিয়া সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের মতো বড়ো বড়ো দেশের কাছে সাহায্য চায় বোকো হারামের হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য।
স্যোশাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় তৈরি হয়। টুইটারে #BringBackOurGirls ক্যাম্পেন শুরু হয়। বারাক ওবামার সরকার নড়চড়ে বসে। আজ রাজপথে নেমেছে তাঁদের পরিবার। মেয়েদের ঘরে ফেরাতে প্রতিবাদ ও ধিক্কারে সরব নাইজেরিয়ার জনগন। কিন্তু ২০০ জন মেয়ে এখন সেই অন্ধকারে রয়েছে। মায়ের আঁচল আজও খালি। সন্তানকে কবে ফিরে পাবে তার উত্তর কেউ দিতে পারেনি...