Iran Anti-Hijab Protests: জন্মদিনের ঠিক আগেই মৃত্যুদিন! ইরানের পুলিসই কি 'হত্যা' করল তরুণ শেফকে?
Iran Anti-Hijab Protests: হিজাব না পরার 'অপরাধে' পুলিসের হাতে বন্দি মাশা আমিনির পরবর্তীকালে মৃত্যু ঘটায় ইরানে আগুন জ্বলে যায়। সেই আগুন আজও নেভেনি। একের পর এক ঘটনা চলছে। তারই জেরে মৃত্যু হল তরুণ শেফের।
![Iran Anti-Hijab Protests: জন্মদিনের ঠিক আগেই মৃত্যুদিন! ইরানের পুলিসই কি 'হত্যা' করল তরুণ শেফকে? Iran Anti-Hijab Protests: জন্মদিনের ঠিক আগেই মৃত্যুদিন! ইরানের পুলিসই কি 'হত্যা' করল তরুণ শেফকে?](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/10/31/394734-iranprotest.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সামনেই ছিল জন্মদিন। কিন্তু তার আগেই এসে পড়ল মৃত্যুদিন। বছরকুড়ির তরতাজা এক ইরানি তরুণ অ্যান্টি-হিজাব প্রোটেস্টের জেরে ইরানে চলতে থাকা বিক্ষোভের সূত্রে মারা গেলেন। তিনি সেদেশের প্রখ্যাত শেফ। নাম মেহর্সাদ শাহিদি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা ইরানে। বহু মানুষ তাঁর শবযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন। শাহিদি অ্যান্টি-হিজাব আন্দোলনে পথে নেমে ইরান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এবং তার জেরে ইরানের পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। অভিযোগ, পুলিস-হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে মারধর করা হয় এবং তারই জেরে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান বলে জানা যায়। যদিও ইরানের পুলিস কর্তৃপক্ষ শাহিদির মৃত্যুর দায় স্বীকার করেনি। ইরানের প্রধান বিচারপতি বলেছন, শাহিদির হাতে, পায়ে, খুলিতে বা মস্তিষ্কে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই।
আরও পড়ুন: Bangladesh Office Timing Changed: বড় সিদ্ধান্ত সরকারের, ১৫ নভেম্বর থেকে অফিস শুরু সকাল ৯টা থেকে
ইরানিয়ান-আমেরিকান লেখক নিনা আনসারি লিখেছেন, তাঁকে নির্মম ভাবে মেরে হত্যা করা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন শেফ ছিলেন। ১ নভেম্বর তাঁর জন্মদিন। তার আগেই তাঁর মৃত্যু ঘটল। আমরা কখনও ভুলব না, আমরা কোনওদিন ক্ষমা করব না।
হিজাব না পরার 'অপরাধে' পুলিসের হাতে বন্দি মাশা আমিনির পরবর্তীকালে মৃত্যু ঘটায় ইরানে আগুন জ্বলে যায়। সমস্ত মানুষ একত্রিত হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। কেন এবং কী ভাবে মাশার মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে চায় দেশবাসী। তাঁদের ধারণা, পুলিসি অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে আমিনির। যদিও পরে সে দেশের সরকার জানিয়েছে, মোটেই অত্যাচারে মৃত্যু হয়নি আমিনির। তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু তাতে ক্ষোভের আগুন নেভেনি ইরানে। আর তারই জেরে সেখানে পর পর নানা ঘটনা ঘটে চলেছে।