পাক অধিকৃত কাশ্মীর একদিন দখল নেবেই ভারত, জয়শঙ্করের এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিল পাকিস্তান
জয়শঙ্করের এই মন্তব্যকে ‘উত্তেজক’ এবং ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে ব্যাখ্যা করে পাকিস্তান। তাঁর এই মন্তব্যে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা আরও ত্বরণ্বিত হওয়ার আশঙ্কা দেখছে পাকিস্তান
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যে কড়া সমালোচনা করল পাকিস্তান। গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে জয়শঙ্কর ইমরানের প্রশাসনকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, এবার আলোচনা হলে হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর বিষয় নিয়ে। এ দিন তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ। আজ হোক বা কাল, ভারত তার দখল নেবেই।”
জয়শঙ্করের এই মন্তব্যকে ‘উত্তেজক’ এবং ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে ব্যাখ্যা করে পাকিস্তান। তাঁর এই মন্তব্যে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা আরও ত্বরণ্বিত হওয়ার আশঙ্কা দেখছে পাকিস্তান। উল্লেখ্য, অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের পর কাশ্মীর নিয়ে ক্রমাগত উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানকে। খোদ ইমরান খানের মুখে পরমাণু যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক মহলে কোনও সুবিধা না করতে পেরে যারপরনাই যুদ্ধবাজ আচরণ দেখিয়েছেন ইমরান খান।
এ দিন পাকিস্তান জয়শঙ্করের মন্তব্যে ফের আন্তজার্তিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত যে ভাবে আগ্রাসী মন্তব্য করে যাচ্ছে, এতে শান্তি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। পাকিস্তান শান্তির পক্ষে, কিন্তু ভারতের আগ্রাসী ভূমিকা বরদাস্ত করবে না বলে জানায় ইসলামাবাদ। উল্লেখ্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে খোদ ইমরান খানই বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেখানে তাঁদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সিন্ধের সমাজকর্মী মুনওয়ার সুফি লাঘারিও বলেন, সিন্ধের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সেখানকার আতঙ্ক। পাকিস্তানে থেকে এই আতঙ্ক থেকে বেরোবার কোনও উপায় নেই। একমাত্র ভরসা বিদেশি রাষ্ট্র। রাষ্ট্রসংঙ্ঘের সভায় যোগ দিতে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর কাছে আর্জি সিন্ধের বিষয়টি রাষ্ট্রসঙ্ঘে তুলুন।