British Royal Family: 'অসভ্য, নোংরা একটা মেয়েকে বিয়ে করেছ তুমি'! রাজবাড়ি না কলতলা?
Prince Harry's Autobiography Spare: বিতর্কের শেষতম সংযোজন সম্ভবত প্রিন্স হ্যারি-মেগান মর্কেলের বিয়ে। বেশ কয়েক বছর ধরে আলোড়ন ফেলেছে প্রিন্স হ্যারি-মেগান মর্কেলের এই বিয়ে এবং তাঁদের নিয়ে বিয়ে-পরবর্তী বিতর্ক।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেচ্ছা-কেলেঙ্কারির শেষ নেই, বিতর্কের শেষ নেই ব্রিটেনের রাজপরিবারকে ঘিরে। এবার প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী ঘিরে তৈরি হল নতুন বিতর্ক। রাজপরিবার ঘিরে কোনওদিনই বিতর্কের শেষ নেই। তবে বিতর্কের শেষতম সংযোজন সম্ভবত প্রিন্স হ্যারি-মেগান মর্কেলের বিয়ে। বেশ কয়েক বছর ধরে আলোড়ন ফেলেছে প্রিন্স হ্যারি-মেগান মর্কেলের এই বিয়ে এবং তাঁদের নিয়ে বিয়ে-পরবর্তী বিতর্ক।
অভিনেত্রী মেগান মর্কেলকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই প্রিন্স হ্যারিকে ঘিরে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছিল রাজ পরিবারে। রাজপরিবারের অংশ হলেও, কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার 'অপরাধে' মেগান মর্কেল কোনওদিনই সেই পরিবারের সদস্য হয়ে উঠতে পারেননি বলে অভিযোগও করেছিলেন। সেই প্রিন্স হ্যারি এবার আত্মজীবনী লিখে সাড়া ফেলে দিলেন, তাঁর পরিবারের নানা বিতর্ক উসকে দিলেন, বাইরে আনলেন কেচ্ছা। জানা গিয়েছে, ওই বইতে দাদা প্রিন্স উইলিয়ামের বিরুদ্ধে নানা বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন হ্যারি। দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল বলেও লেখা হয়েছে ওই বইতে। এবং এ-ও জানা গিয়েছে, এই হাতাহাতির কারণও ছিলেন মেগান মর্কেল-ই!
আরও পড়ুন: Amazon: এক লপ্তে একেবারে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই! মাথায় হাত কর্মীদের...
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মর্কেল যখন রাজপরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে ক্য়ালিফোর্নিয়ায় চলে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন, তখনই দুই ভাইয়ের মধ্যে এই গন্ডগোল শুরু হয়।
ঠিক কী ঘটেছিল?
দেখা যাক, এ বিষয়ে কী বলছে প্রিন্স হ্যারি আত্মজীবনী 'স্পেয়ার'। সেখানে হ্যারি লিখেছেন তাঁর স্ত্রী মেগান মর্কেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কারণে দাদা প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে তাঁর বচসা, এমনকি হাতাহাতিও হয়। হ্যারি লিখছেন, প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়াম মেগান মর্কেলের উদ্দেশে 'অত্যন্ত কঠিন' কিছু শব্দপ্রয়োগ করেন। তিনি ভাইয়ের বউকে উদ্দেশ্য করে 'অসভ্য' 'সংসারে ভাঙন ধরিয়েছে' মার্কা কিছু কথাবার্তাও বলেন। আর এরই প্রতিবাদ করেন হ্যারি। তার জেরে উইলিয়াম ও হ্যারির মধ্যে তুমুল বচসা বাধে। তখন উইলিয়াম হ্যারির কলার ধরে টানেন এবং তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলেও দেন মাটিতে!
শোনা যায়, এ ঘটনায় প্রিন্স হ্যারি আহত হন, তাঁর পিঠে গুরুতর চোটও লাগে। হ্যারি লিখছেন-- গোটা ব্যাপারটাই খুব দ্রুত ঘটে গিয়েছিল, ও (দাদা প্রিন্স উইলিয়াম) আমার কলার ধরে টানে, তাতে গলার চেইন ছিঁড়ে যায়। আমায় ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। কুকুরকে খাবার দেওয়ার একটা পাত্র রাখা ছিল, আমি তার উপরে গিয়ে আমি পড়ি, পাত্রটি ভেঙে যায়। এর ভাঙা টুকরো আমার পিঠে ঢুকে যায়। হতভম্ব হয়ে কয়েক মুহূর্ত আমি মাটিতেই পড়়ে থাকি। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে উইলিয়ামকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলি!
বোঝাই যাচ্ছে, আত্মজীবনীতে প্রায় কাউকেই 'স্পেয়ার' করেননি রাজকুমার।