'ভারত-পাক সম্পর্ক ভাল হওয়ার জন্য কি সিধুর প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?'
ইমরানের এই মন্তব্যে মোদী সরকারকে তীক্ষ্ণ কটাক্ষ লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা। সিধুর উদাহরণ টেনে পাকিস্তান সম্পর্কে মোদী সরকারের যে অবস্থান,তার সমালোচনাও করতে ছাড়লেন না ইমরান খান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দু'দেশের সুস্থ সম্পর্ক তৈরি করতে নভজ্যোত সিং সিধুর মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান ইমরান খান। এমনকি পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিধুর মতো প্রধানমন্ত্রী হলেই দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। ইমরান খান এখানেই থেমে থাকেন নি। তিনি এও মনে করেন পাকিস্তানের পঞ্জাবের হয়ে নির্বাচনে লড়লে সিধুর জয় নিশ্চিত। অর্থাত্ সিধুকে সামনে রেখে পাক প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিলেন, শান্তি ফেরাতে ভারতকে আরও এক ধাপ বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
করতারপুর করিডরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সিধু প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, “আমার শপথ গ্রহণের পর দেশে ফিরে সিধুকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। আমি জানি না কেন তাঁর এত সমালোচনা করা হচ্ছে। সিধু তো শান্তির কথা বলেছে। এখানে এসে কী দোষ করেছেন সিধু?” ইমরান খান আরও বলেন, দু’ধরনের রাজনীতিক রয়েছে। সিধুর মতো রাজনীতিকরা বড় স্বপ্ন দেখতে জীবনের ঝুঁকি নেন। আর কিছু রাজনীতিক আছেন যারা নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকে। তাঁরা ঘৃণা ছড়িয়ে ভোট জোগাড় করে। আর সিধুর মতো রাজনীতিকরা গলা জড়িয়ে ভোট আদায় করেন। আমার বিশ্বাস দু’দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা জন্য সিধুর প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
#WATCH Pakistan PM Imran Khan: I don't know why was Sidhu criticised (in India). He was just talking about peace. He can come and contest election here in Pakistan, he'll win. I hope we don't have to wait for Sidhu to become Indian PM for everlasting friendship b/w our nations. pic.twitter.com/yPdWCJDYAr
— ANI (@ANI) November 28, 2018
আরও পড়ুন- মাঝ আকাশেই ঘুমিয়ে পড়লেন বিমানের চালক, তারপর...
ইমরানের এই মন্তব্যে মোদী সরকারকে তীক্ষ্ণ কটাক্ষ লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা। সিধুর উদাহরণ টেনে পাকিস্তান সম্পর্কে মোদী সরকারের যে অবস্থান,তার সমালোচনাও করতে ছাড়লেন না ইমরান খান। ইতিমধ্যে সার্ক সম্মেলনে ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এ দিন সুষমা স্বরাজ বলেন, “ভারতে সন্ত্রাস মদত যত ক্ষণ না পাকিস্তান বন্ধ করছে, আলোচনার কোনও প্রশ্ন ওঠে না। প্রয়োজন হলে সার্ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে না ভারত।” উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে উরি হামলার পর পাক মাটিতে হওয়ায় সার্ক সম্মেলন বয়কট করে ভারত। নয়া দিল্লির এই সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপও একই পথে হাঁটে। এর জেরে ভন্ডুল হয়ে যায় সম্মেলন।
আরও পড়ুন- ‘মেরা ইয়ার দিলদার ইমরান খান’, পাক প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিধু
করতারপুর করিডর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নয়া মাত্রা যোগ করবে বলে বিশেষজ্ঞদের যে দাবি, তা খারিজ করে দেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি বলেন, দু দশকের বেশি সময় ধরে করতারপুর করিডর তৈরির জন্য ভারত যে দাবি জানিয়ে আসছিল, আজ সেই দাবি বাস্তবে পরিণত হওয়ায় আমি ভীষণ খুশি। পাকিস্তানও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। কিন্তু করতারপুর করিডর কখনও দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না। সন্ত্রাস যতক্ষণ না পাকিস্তান সমূলে উত্খাত করছে, আলোচনা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানান সুষমা স্বরাজ। একই সুর শোনা যায় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের গলায়। পাক সন্ত্রাসকে ইস্যু করেই ইমরান খানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর।