২০০৪-এ বিজেপি থাকলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে যেত, মত ইমরানের

একই সঙ্গে ইমরানের মত, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে আলোচনার মাধ্যমে। যুদ্ধ বা অন্য কোনও বিকল্প পথে তা সম্ভব নয়।

Updated By: Dec 5, 2018, 04:39 PM IST
২০০৪-এ বিজেপি থাকলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে যেত, মত ইমরানের

নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীর সমস্যার সমাধান নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ২০০৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে পারলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটের কিং খানের এই মন্তব্যে হইচই পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে। তাঁর এই মন্তব্যের পিছনে আসল কারণ কী, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

যদিও পাক-প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা তাঁর নিজের মত নয়। বরং একথা তিনি শুনেছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর কাছ থেকে। তিনি জানান, বাজপেয়ী তাঁকে বলেছিলেন যে ২০০৪ সালে বিজেপি আবার ক্ষমতায় ফিরলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তাই তাঁর মনে হয় একমাত্র বাজপেয়ীই পারতেন কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে।

আরও পড়ুন: দাউদ ইব্রাহিম-হাফিজ সইদ সমস্যা পেয়েছি উত্তরাধিকার সুত্রে, দায় এড়ালেন ইমরান!

এ প্রসঙ্গে তিনি টেনে এনেছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটবর সিংয়ের নামও। ভারতের এই প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীও নাকি একই কথা বলেছিলেন তাঁকে। এর থেকেই ইমরানের মনে হয়েছিল, ভারত-পাকিস্তান দুই দেশ কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের খুব কাছাকাছি রয়েছে। একই সঙ্গে ইমরানের মত, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে আলোচনার মাধ্যমে। যুদ্ধ বা অন্য কোনও বিকল্প পথে তা সম্ভব নয়।

যদিও তিনি জানিয়েছেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে তিনটি বিকল্প রয়েছে। তবে সেই বিকল্পগুলি কী কী, তা নিয়ে বিশদে ব্যাখ্যা করতে অস্বীকার করেন প্রাক্তন এই ফাস্ট বোলার। কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ইমরান। পাক-প্রধানমন্ত্রীর মতে, ''যুদ্ধের কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, দু'টি দেশই পরমাণু শক্তিধর। আর দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে তার ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে।''

আরও পড়ুন: 'ভারত-পাক সম্পর্ক ভাল হওয়ার জন্য কি সিধুর প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?'

ইমরানের দাবি, পাকিস্তান সবসময় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষপাতী। পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আলোচনায় আগ্রহী হলেও তা এখনই সম্ভব নয় বলেই মনে করেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি, ভারতে এখন নির্বাচনের সময়। তাই এখনই সম্ভব নয় আলোচনা।

.