ঝর্ণার জল থেকে গাছের পাতা, বরফে মোড়া প্রকৃতির নৈস্বর্গিকতা উপলব্ধি করতে চিনের সিচুয়ানে পর্যটকের ভিড়
ঝর্ণার জল থেকে শুরু করে গাছের পাতা। কোনও কিছুই এখানে নড়ে না। প্রকৃতি যেন একেবারে স্তব্ধ। আর সেই স্তব্ধতার নৈস্বর্গিক অনুভুতি উপলব্ধি করতে, প্রতি বছর দক্ষিণ পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রদেশে হাজির হন দেশ বিদেশের পর্যটকরা। কারণ জিউঝাইগৌ উপত্যকায় শুরু হয়েছে বরফ উত্সব। চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
ঝর্ণার জল থেকে শুরু করে গাছের পাতা। কোনও কিছুই এখানে নড়ে না। প্রকৃতি যেন একেবারে স্তব্ধ। আর সেই স্তব্ধতার নৈস্বর্গিক অনুভুতি উপলব্ধি করতে, প্রতি বছর দক্ষিণ পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রদেশে হাজির হন দেশ বিদেশের পর্যটকরা। কারণ জিউঝাইগৌ উপত্যকায় শুরু হয়েছে বরফ উত্সব। চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
চলতি বছর আমেরিকার তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল হিমাঙ্কের প্রায় ৫০ ডিগ্রি নিচে। ফলে ঠাণ্ডায় জমে গিয়েছিল নায়গ্রা জলপ্রপাত। বিশ্ববাসীর কাছে সেই দৃশ্য বিরল হলেও দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রদেশের বাসিন্দারা কিন্তু এমন দৃশ্য দেখার সাক্ষী থাকেন প্রতি বছর। কারণ প্রতিবছর জিউঝাইগৌ উপত্যকার তাপমাত্রাও নেমে যায় হিমাঙ্কের অনেক নিচে। তাই সেখানকার ঝর্ণাগুলিও জমে বরফ হয়ে যায়।
গাছ, বাড়ি, ছোট ছোট টিলা...সবকিছুই ঢাকা পড়ে যায় বরফে। দেখলে মনে হয়, গোটা উপত্যকাটাই যেন সাদা চাদরে মোড়া কোনও রূপকথার দেশ। আর নৈস্বর্গিক সেই দৃশ্য দেখতে প্রতি বছর জিউঝাইগৌ উপত্যকায় হাজির হন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। কারণ এসময় সেখানে চলে আন্তর্জাতিক তুষার উত্সব।
আমার মনে হয় কোথাও যদি কোনও রূপকথার দেশ থাকে, তাহলে সেটা হয়ত এরকমই হয়।
আমি নিউইয়র্ক থেকে এসেছি। এটাই আমার প্রথমবার। দারুণ লাগছে। মনে হচ্ছে যেন স্বর্গে এসেছি। সবকিছুই কেমন শান্ত, স্তব্ধ।
রবিবার থেকে জিউঝাইগৌ উপত্যকায় শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বরফ উত্সব। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার পর্যটক হাজির হয়েছেন সেখানে। স্থানীয় প্রশাসনের আসা, আগামী দিনে আরও বহু মানুষ আসবেন এখানে।