'বিয়ার চাই' বলে দাবি তুলেছিলেন বৃদ্ধা, সাহায্যে এগিয়ে এলেন অপরিচিত নাতিরা
পেনসিলভ্যানিয়ার ৯৩ বছর বয়সী পেনশনভোগী পড়েছেন মহাসমস্যায়।
নিজস্ব প্রতিনিধি— কোয়ারান্টিনে তিনি থাকতে চান। মন থেকে সত্যি তিনি সেটাই চান। কিন্তু এভাবে কী থাকা যায়! এই বয়সে এসে তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী যদি সঙ্গে না থাকে! পড়ন্ত বিকেলে একখানা বিয়ারের ক্যান হাতে নিয়ে বারান্দায় দাঁড়ানো অভ্যেস তাঁর। করোনার জেরে সেই অভ্যেসে কি না দাড়ি টানতে হবে! কোয়ারান্টিনে থাকাকালীন কিছু একটা তো থাকা চাই নাকি! তিনি মজে থাকতে চেয়েছিলেন বিয়ার—এর চুমুকে। কিন্তু সেটাও হচ্ছে না। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছে। এদিকে তাঁর মজুত করা বিয়ারের বোতল শেষ হতে চলেছে। ৯৩ বছর বয়স এখন তাঁর। এই বয়সে এসে আর কার কাছে বিয়ার চাই বলে দাবি তুলবেন তিনি!
পেনসিলভ্যানিয়ার ৯৩ বছর বয়সী পেনশনভোগী পড়েছেন মহাসমস্যায়। করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে তিনি সারাদিন বাড়িতেই রয়েছেন। কিন্তু মজুত করা বিয়ার শেষ হতে চলেছে। তাই সৃজনশীল হয়েই তিনি বিয়ারের সরবরাহ ঠিকঠাক রাখার দাবি জানালেন। হাতে একটি পোস্টার নিয়ে জানালার সামনে দাঁড়িয়ে বিয়ারের জোগান দেওয়ার দাবি তুললেন বৃদ্ধা। পোস্টারে লেখা— I need more beer!! এক হাতে বিয়ারের একটি ক্যান। অন্য হাতে এই পোস্টার নিয়ে তাঁর ছবি সোশ্যাল সাইটে ভাইরাস হয়েছে। তাঁর এমন সৃজনশীলতা অনেকের নজর কেড়েছে। ফলে বৃদ্ধাকে ঠাকুরমা বলে ডেকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন অনেক অপরিচিত নাতি।
আরে পড়ুন— ১৮ মাস সময় লাগবে না! সেপ্টেম্বরে আসতে পারে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন
১০ লাখেরও বেশি মানুষ দেখেছেন এই ছবি। অনেকেই ওলিভের জন্য বিয়ার পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। কেউ কেউ তো উদ্যোগও নিয়ে ফেলেছেন। করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় বয়স্কদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে অনেক দেশের সরকার। তাঁদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেককে আবার বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা করে হোম কোয়ারান্টিনে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে ওলিভের ব্যাপারটা আলাদা। তিনি তো এখনও ৯৩—এর যুবতী। প্রাণোচ্ছ্বল, উদ্যম, বিয়ারপ্রেমী।