Bangladesh: হাসিনার পর কোন পথে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, মুখ খুলল প্রতিবেশী দেশ

Bangladesh: হাসিনার আমলে চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো ছিল। হাসিনার চিন সফর খুব একটা ভালো ভাবে নেয়নি আমেরিকা। এনিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, চিনের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখায় চেষ্টা করা হবে

Updated By: Aug 12, 2024, 01:49 PM IST
Bangladesh: হাসিনার পর কোন পথে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, মুখ খুলল প্রতিবেশী দেশ
বাঁদিকে তৌহিদ হোসেন

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শেখ হাসিন দেশ ছাড়ার পর গোটা বাংলাদেশ জুড়েই এক ডামাডোল শুরু হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি কিছুটা সামলে নিয়েছে অন্তর্বতীকালীন সরকার। নতুন সরকারের মাথায় বসানো হয়েছে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসকে। তিনি যে ভারত সম্পর্কে খুব বেশি খুশি তা বলা যায় না। কারণ তাঁর বক্তব্য হল ভারত ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে বাংলাদেশের সঙ্গে নয়। এরকম এক পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে তা তা নিয়ে ইঙ্গিত দিলেন বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

আরও পড়ুন-'বাবা হিসাবে লজ্জিত', শুধু অধ্যক্ষ পদ নয়, চাকরি থেকেও ইস্তফা আরজি করের প্রিন্সিপালের...

রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাসিনা আমলের কথা তোলেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। কিন্তু সেই সময়কার কথা মানুষের মতে কতটা দাগ কেটেছিল তা নিয়ে আমার মনে সন্দেহ রয়েছে। আমরা চাইব এই সম্পর্কটা শুধু দুদেশের সরকারের মধ্যে নয় বরং দুদেশের মানুষের মধ্যে গড়ে উঠুক। আমরা চাই বাংলাদেশিরা যেন ভারতকে তার বন্ধু ভাবে। সেই দিকেই আমরা সম্পর্কটা নিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই ভারত আমাদের সহায়তা করবে। কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ রাখতে চাই না।

মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, আশা করি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। দুদেশের  শান্তি  সুরক্ষার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে বলে আমরা আশা করছি।

হাসিনার আমলে চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো ছিল। হাসিনার চিন সফর খুব একটা ভালো ভাবে নেয়নি আমেরিকা। এনিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, চিনের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখায় চেষ্টা করা হবে। দক্ষিণ পূর্ব এসিয়ায় দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা হবে।

তৌ‌হিদ হো‌সেন ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০০ সালে ফেব্রুয়ারি এবং ২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত দুই মেয়াদে ফরেন সার্ভিস একা‌ডে‌মির প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তি‌নি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন। ২০০৬ সালে ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ৮ জুলাই পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালের জুনে তৌ‌হিদ হো‌সেন‌কে দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনার করা হয়।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল) 

.