৮৭ বছর বয়সে স্মৃতির সংসার যেন তাঁর প্রাণ ভোমরা
এ যেন এক স্মৃতির বাড়ি। স্মৃতি হয়ে উঠেছে প্রাণ ভোমরা। নিজের ছেলেবেলার সমস্ত স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চান তিনি। আর সেই স্মৃতি শুধুই কতগুলো ছবি নয়, পুতুল-খেলনা-অটোগ্রাফ দিয়ে সাজানো সেই স্মৃতি।
ওয়েব ডেস্ক: এ যেন এক স্মৃতির বাড়ি। স্মৃতি হয়ে উঠেছে প্রাণ ভোমরা। নিজের ছেলেবেলার সমস্ত স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চান তিনি। আর সেই স্মৃতি শুধুই কতগুলো ছবি নয়, পুতুল-খেলনা-অটোগ্রাফ দিয়ে সাজানো সেই স্মৃতি।
৮৭ বছরের মে অ্যাপলেটন। যিনি নিজের ছেলেবেলার সমস্ত স্মৃতি আঁকড়ে ধরেই থাকতে চেয়েছেন। ৩ সন্তানের সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে বাস করেন তিনি। সন্তানেরা বড় হয়ে যাওয়ার সময় নিজের অবসর সময় কাটানোর একটা পন্থা খুঁজে বের করেছিলেন তিনি। পুতুল থেকে শুরু করে বিশিষ্ট জনেদের অটোগ্রাফ সহ আরও অনেক কিছু স্মজৃতি হিসেবে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন তিনি। যেগুলি যুক্ত হয়ে গেছে তাঁর আত্মার সঙ্গে। সেই স্মৃতিকে যদি কেই ফেলে দিতে বলেন তাহলে তিনি মরেই যাবেন। সেগুলি যেন হয়ে উঠেছে তাঁর প্রাণ ভোমরা!
স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছিলেন, তাই জন্যই কয়েক বার কোর্টেও যেতে হয়েছে তাঁকে। বাড়ির চতুর্দিক ভর্তি হয়ে রয়েছে তাঁর স্মৃতি দিয়ে। কিন্তু বাড়ির মালিক তা দেখতে নারাজ। তাই বাড়ি পরিষ্কারের জন্য ৭ বার চিঠিও আসে বাড়িতে। তাতেও একটুও দমেননি তিনি। অনেকেই বলেছেন বাড়িতে আগুন ধরে যেতে পারে, তাই বারি পরিষ্কার করুন। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। তাঁর ছেলেরা মায়ের স্মৃতির সংসারকে মায়ের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে নারাজ। তাঁরাও বলেছেন বাড়ি একদম পরিষ্কার।
অ্যাপলেটনের মতে, তাঁরা হয়ত সেভাবে কোনও ভাল কাজ করেননি, কিন্তু বহু মানুষের দেখভাল করেছেন তাঁর পরিবার। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় উদ্বাস্তুদের নিজের বাড়িতে স্থান দেওয়ার জন্য তখনকার রাণীর কাছ থেকে একতি ধন্যবাদ চিঠি পান তাঁর মা। ১৯৬০ এবং ৭০এর দশকের বহু খেলোয়ার সহ বিভিন্ন ফিল্ম ব্যক্তিত্বদের অটোগ্রাফ আছে তাঁর মিউজিয়ামে। এছাড়া, ছেলেবেলার রোবট, ক্যামেরার কালেকশন সহ সমস্ত জিনিষই বর্তমান তাঁর স্মৃতির সংসারে।