Melbourne: মেলবোর্নের রাস্তায় পতাকা নিয়ে বেরিয়ে উগ্রপন্থীদের আক্রমণের মুখে ভারতীয়রা...
Anti-India Activities by Pro-Khalistani: উগ্র খালিস্তানিরা ভারতীয় পতাকাবাহীদের আক্রমণ করল মেলবোর্নের রাস্তায়। এই হামলায় অন্ততপক্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উগ্র খালিস্তানিরা ভারতীয় পতাকাবাহীদের আক্রমণ করল মেলবোর্নের রাস্তায়। এই খালিস্তানি-হামলায় অন্ততপক্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োটিতে এমনও দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি ভারতীয় পতাকা ভেঙে রাস্তায় ছুড়ে ফেলছেন! ভিডিয়োটিতে আরও দেখা গিয়েছে, খালিস্তানি সমর্থকদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে যান ভারতীয়রা। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা এই ভিডিয়োটি ট্যুইট করেছেন।
মনজিন্দর সিং সিরসা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। প্রো-খালিস্তানিদের এই অ্যান্টি-ইন্ডিয়া অ্যাক্টিভিটির নিন্দা করে তিনি বলেন, অবিলম্বে এগুলি বন্ধ হওয়া উচিত। তিনি এই ধরনের কার্যক্রমকে অ্যান্টি-সোশ্যাল বলেও উল্লেখ করেন। মনজিন্দর সিং সিরসা বলেন, অস্ট্রেলিয়ার এই ধরনের ঘটনা সেদেশের শান্তি ও সংহতির পথে অন্তরায়। এই সব কড়া হাতে দমন করা উচিত। যারা এই সংহতি নষ্ট করছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ায় একটি হিন্দু মন্দির ভেঙে দেওয়া হয়। আর সেই ঘটনার পরই সেখানে আক্রান্ত হলেন ভারতীয় হিন্দুরা। মেলবোর্নে মন্দিরের উপর আক্রোশের ঘটনা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঘটে চলেছে।
আরও পড়ুন: Pakistan Crisis: পাশেই পাকসেনার হেডকোয়ার্টার, এদিকে অস্ত্র হাতে ১২ জন পোলট্রি ফার্মে! কেন?
সাম্প্রতিক ঘটনায় ভারতীয় পতাকাবাহী হিন্দুদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। একজনকে এমনকি তরোয়াল হাতে ভারতীয়দের দিকে তেড়ে যেতেও দেখা গিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 'উসকানিমূলক আচরণে'র দায়ে তাদের জরিমানাও করা হয়।
ওয়াকিবহাল মহলের পর্যবেক্ষণ, ভারতে তো দুই বা ততোধিক গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকে। ইদানীং আর শুধু ভারতে নয়, ভারতীয়রা থাকেন বিশ্বের এইরকম দেশেও নানা সময়ে এ ধরনের নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। কোথাও সামগ্রিক ভাবে ভারতীয়দের উপর হামলা হয়, কোথাও ভারতীয়দের মধ্যে জাতিগত বা ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা হয়। যেটা যে কোনো দেশের সামাজিক সুস্থতা বা সংহতি রক্ষার পক্ষেই খারাপ বলে মনে করেন তাঁরা।