হাই-প্রোফাইল লভ-স্টোরিতে বিব্রত পাক সরকার
প্রণয়ের বন্ধনে জড়িয়ে পড়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার ও পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো। এমনটাই দাবি করেছে বাংলাদেশের একটি ট্যাবলয়েড। ট্যাবলয়েডটি আরও দাবি, এই সম্পর্ক নিয়ে রীতিমত সিরিয়াস রাব্বানি ও বিলওয়াল। বিয়ের পর নব দম্পতি সুইজারল্যান্ডে ঘর বাঁধতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে ট্যাবলয়েডটি। যদিও পাক প্রশাসন সূত্রের এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করা হয়েছে।
হিনা রাব্বানি খার ও বিলাওয়াল ভুট্টো। এই মুহূর্তে পাক প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় দুটি নাম। শাহ মেহমুদ খুরেশির পর পাকস্তিনের বিদেশমন্ত্রীর কুর্শিতে বসেন হিনা। অন্যদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির পুত্র বিলওয়াল ভুট্টো। বয়সের নিরিখে বিলওয়ালের থেকে এগারো বছরের বড় হিনা। স্বামী ফিরোজ গুলজার পাকিস্তানের নামকরা ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশের ব্লিৎজ ট্যাবলয়েডে প্রথম বিলওয়াল ও হিনার প্রণয়ের খবর প্রকাশিত হয়। ট্যাবলয়েডটির দাবি, দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি জারদারির গোচরে আসে গতবছরে বিলওয়ালের জন্মদিনে হিনার দেওয়া একটি বার্থ-ডে কার্ড দেখার পর। কার্ডে জন্মদিনের শুভেচ্ছার পাশাপাশি নাকি নিজের হাতে একটি নোটও লিখে পাঠান হিনা। হিনা ও বিলওয়ালকে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে আপত্তিকর অবস্থাতেও নাকি দেখতে পান জারদারি।
ট্যাবলয়েডটির দাবি, এই সম্পর্ক ভাঙতে প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত সবরকম চেষ্টাই করেছেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। তাঁর আপত্তির মূল কারণ দুটি। হিনা বিবাহিত, এমনকী দুই সন্তানের জননীও। পাশাপাশি এই বিয়ে হলে বিলওয়ালের রাজনৈতিক কেরিয়ারের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তান পিপলস পার্টির ভাবমূর্তিও তলানিতে ঠেকতে পারে। যদিও জারদারির এই হুমকিকে বিশেষ আমল দেননি বিলওয়াল বা হিনা কেউই।
ব্লিৎ্জ-এর দাবি, সম্ভবত এবছরের শেষেই স্বামী ফিরোজ গুলজারের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে বিলওয়ালের সঙ্গে ঘর বাঁধতে পারেন হিনা। সেক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফাও দেবেন তিনি। পিপিপির সভাপতির পদ থেকে নিজের ইস্তফা দেওয়ার কথা জারদারিকে জানিয়েছেন বিলওয়ালও। বিয়ের পর সুইজারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেন নব দম্পতি। হিনা-বিলওয়ালের সম্পর্কের খবর জানতে পেরে বসে নেই হিনার স্বামীও। ইতিমধ্যেই নাকি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে হিনার ফোনে আসা দুটি সন্দেহভাজন নম্বরের কল ডিটেলস জানতে চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। যদিও ব্লিৎজ-এর এই খবরের কোনও ভিত্তি নেই বলেই দাবি করেছে পাক প্রশাসন। তবে পাক প্রশাসন উড়িয়ে দিলেও এই হাই প্রোফাইল সম্পর্ক নিয়ে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।