সাক্ষ্যদানের পঞ্চম দিনে নতুন তথ্য
ছাব্বিশ এগারোর পরেও হামলার ছক ছিল। ২০০৯ সালে ভারতে এসে পুণের সেনাঘাঁটি রেকি করেন হেডলি। সাক্ষ্যদানের পঞ্চম দিনে নতুন তথ্য দিলেন মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারী। তাঁর সাক্ষ্য ফের একবার প্রশ্নের মুখে ফেলল পাকিস্তানের সদিচ্ছাকে।
ওয়েব ডেস্ক: ছাব্বিশ এগারোর পরেও হামলার ছক ছিল। ২০০৯ সালে ভারতে এসে পুণের সেনাঘাঁটি রেকি করেন হেডলি। সাক্ষ্যদানের পঞ্চম দিনে নতুন তথ্য দিলেন মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারী। তাঁর সাক্ষ্য ফের একবার প্রশ্নের মুখে ফেলল পাকিস্তানের সদিচ্ছাকে।
বুড়া চাচা মানে হাফিজ মহম্মদ সইদ। জওয়ান চাচা মানে জাকিউর রহমান লাকভি। H1 ভাইরাসের অর্থ মুম্বইয়ে জঙ্গিহানা। হামলার আগে ও পরে এই সঙ্কেতেই চলত ইমেল চালাচালি। আমেরিকায় হেডলি ও পাকিস্তানে সাজিদ মির। তেমনই একটি ইমেল খুলে দেয় পাকিস্তানের মুখোশ। হেডলি জানিয়েছেন, জাকিউর রহমান লকভি ও হাফিজ মহম্মদ সইদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো ব্যবস্থা হবে। ওঁদের কিছুই হবে না। লস্কর নেতা সাজিদ মির আমাকে এই আশ্বাস দিয়েছিল।
তাজ হোটেলে হামলার সময় পাকিস্তান থেকে জঙ্গিদের নির্দেশ দেয় তিন লস্কর নেতা। তাঁদের কণ্ঠস্বরও চিহ্নিত করেছেন হেডলি। মুম্বইয়ের পর ISI-এর নিশানায় ছিল পুণে। সার্দার্ন কমান্ডের সদর দফতর ও ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি। হেডলি বলেছেন, ২০০৯ সালে পুণেতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সার্দার্ন হেডকোয়ার্টারে যাই। ISI-এর মেজর ইকবালের নির্দেশ ছিল সেনাবাহিনীর মধ্যে চর নিয়োগের চেষ্টা করতে হবে।
ISI-লস্করের পাশাপাশি, আল কায়দার হয়েও কাজ করেন হেডলি। ইলিয়াস কাশ্মীরির নির্দেশে গোয়া, পুষ্করের পাশাপাশি ভারতের একাধিক লোকেশন ঘুরে দেখেন তিনি।